ঢাকা: মেধা ও সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতায় সেরা হওয়ার লড়াইয়ের ৬৭ বছর ধরে লড়ছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তরুণীরা। এবার চীনের সানাইয়া শহরে অনুষ্ঠিত ৬৭তম আসরে ছিলেন ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ জেসিয়া ইসলাম। দেশে ফিরে প্রথম আলোর সঙ্গে বললেন তাঁর অভিজ্ঞতা আর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে। ভবিষ্যতে যাঁরা মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য স্বপ্ন দেখছেন, কথার ফাঁকে তাঁদের জন্য কিছু পরামর্শ দেন তিনি।
‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় নাম নিবন্ধনের আগে থেকেই জেসিয়া ইসলাম মডেলিংয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এখনো মডেলিং তাঁর প্রথম পছন্দ। তবে চলচ্চিত্রের প্রতিও রয়েছে তাঁর আগ্রহ। ভবিষ্যতে যাঁরা মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে চান, তাঁদের জন্য জেসিয়া বলেন, ‘শুরুতে অবশ্যই বাংলাদেশ থেকে তাঁকে সেরা হতে হবে। যাঁরা সামনের আসরে মিস ওয়ার্ল্ডে নাম লেখাতে চান, তাঁরা ইউটিউবে এই প্রতিযোগিতার অন্য বছরগুলোর আয়োজনের ভিডিও ক্লিপ বেশি বেশি করে দেখবেন। এখান থেকে অনেক কিছু জানা যাবে, শেখা যাবে। পোশাক আর ফ্যাশন সম্পর্কে ভালো ধারণা পাবেন।’
সামাজিক কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারলে যেকোনো প্রতিযোগী এই প্রতিযোগিতায় সুবিধাজনক অবস্থানে থাকতে পারবেন বলেও জানান জেসিয়া। বললেন, ‘এবার মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় ভারতের মানুষি শিলার মেধা আর যোগ্যতার পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য নিজেকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। ব্যক্তিত্ব প্রতিটি মানুষের মধ্যেই থাকে। কিন্তু কে কত সুন্দরভাবে তা প্রকাশ করতে পারছে, সেটাই হচ্ছে আসল ব্যাপার।’
মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় ফিটনেস একটা বড় ব্যাপার বলে জানান জেসিয়া। নিজের শারীরিক ফিটনেস ধরে রাখতে জেসিয়া কী করেন? তিনি বলেন, ‘নিয়ম মেনে খাবার খাচ্ছি। আমি সব খাবার খাই, তবে তা পরিমাণমতো। খাবারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি খাওয়া হয় ফল। এ ছাড়া ফিটনেস ধরে রাখতে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় হাঁটাহাঁটি করি। কখনো জিমে যাওয়ার প্রয়োজন হয়নি।’
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীদের সঙ্গে এক মাস বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় সেরা হওয়ার লড়াইয়ে ছিলেন বাংলাদেশের মেয়ে জেসিয়া ইসলাম। এই প্রতিযোগিতায় সেরা হয়েছেন ভারতের মানুষি শিলার। সেরার মুকুট জিততে না পারলেও সেরা চল্লিশে থাকতে পেরেছেন, তাতেই সন্তুষ্ট ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’।