সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়। এক বছর ধরে কথা বলতে বলতে বন্ধুত্ব। পরে প্রেম। সেই প্রেমের টানেই ইন্দোনেশিয়া থেকে বাংলাদেশের পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় চলে এসেছেন নিকি উল ফিয়া (২০) নামের এই তরুণী।
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার দাশপাড়া ইউনিয়নের দাশপাড়া গ্রামের স্নাতক পড়ুয়া মো. ইমরান হোসেন (২২) ভালোবাসার মানুষটিকে স্বাগত জানাতে গত শুক্রবার রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান। পরদিন নিকি উল ফিয়াকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ফেরেন। নিকি উল ফিয়া এখন সেখানেই আছেন।
ইমরান হোসেন দাশপাড়া গ্রামের বাবুর্চি বাড়ির মো. দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি পটুয়াখালী সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিষয়ের সম্মান তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
নিকি উল ফিয়ার ভাষ্য, তিনি মুসলিম পরিবারের সন্তান। ইন্দোনেশিয়ার সুরা বায়া বিভাগের জাওয়া গ্রামের ইউ লি আন থোর মেয়ে। তিনি শিক্ষকতা করেন।
ইমরান বলেন, ‘প্রায় এক বছর আগে ফেসবুকে ওই তরুণীর সঙ্গে তার পরিচয়। শুরুতে নিকি উল ফিয়া আমার দেশ, সংস্কৃতি ও পরিবার সম্পর্কে জেনে নিয়েছে। পরে আমাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। আমার কোনো আপত্তি না থাকায় নিকি উল ফিয়া গত শুক্রবার উড়োজাহাজে করে হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছায়। এখন সে আমার বাড়িতেই আছে।’
নিকি উল ফিয়া বলেন, ‘ইমরানের প্রতি গভীর ভালোবাসার টানেই বাংলাদেশে এসেছি। তাকে বিয়ে করতে চাই।’ বিষয়টি তিনি তাঁর মা-বাবাকে জানিয়েই বাংলাদেশে এসেছেন বলে দাবি করেছেন। তিনি আরও বলেন, ইমরানের পরিবারের সদস্যদের আচরণ ও ভালোবাসায় তিনি মুগ্ধ।
ইমরানের বাবা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘এখানে এসে নিকি উল ফিয়া তাঁর বাবা ও মায়ের সঙ্গে কথা বলেছে।’ নিকি উল ফিয়া চাইলে তিনি তাঁর ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি আছেন বলেও জানিয়েছেন।