তালাকের এই নোটিশের ব্যাপারে শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস কেউই মুখ খুলছেন না। তাঁদের দুজনের মুঠোফোন নম্বরই বন্ধ পাওয়া যায়।
২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের বিয়ে হয়। বিয়ের ব্যাপারটি কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে রেখে তাঁরা দুজন সমানতালে সিনেমার শুটিং অব্যাহত রাখেন। এ বছর ১০ এপ্রিল বিকেলে একটি টেলিভিশন চ্যানেলে ছয় মাস বয়সের ছেলে আব্রামকে সঙ্গে নিয়ে উপস্থিত হন অপু। সেদিন অপু বলেন, ‘আমি শাকিবের স্ত্রী, আমাদের ছেলে আছে।’
আট বছর আগের সে বিয়ের খবর জনসমক্ষে আসার পর দুজনের সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি হয়। পরিস্থিতি এমন অবস্থায় পৌঁছায় যে শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস নিজেদের মধ্যে মুখ দেখাদেখি বন্ধ করে দেন। শুধু ছেলে আব্রামের কারণে মাঝেমধ্যে দেখা হলেও কথা হয়নি দুজনের। এবার তাঁদের সেই টানাপোড়েনের চূড়ান্ত পরিণতি ঘটেছে। শাকিব খান আর অপু বিশ্বাসের আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটছে।
এই দুই জনপ্রিয় চিত্রতারকার ঘনিষ্ঠজনদের মতে, শাকিব খান আর অপু বিশ্বাসের বিবাহবিচ্ছেদের অনেকগুলো কারণ রয়েছে। যেমন শাকিবকে কোনো কিছু না জানিয়ে হুট করে টেলিভিশনে শিশুসন্তানকে নিয়ে অপুর হাজির হওয়া, নানা সময়ে সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাকিব খান আর তাঁর পরিবার নিয়ে অপুর কটূক্তি করা, অন্য নায়িকাদের সঙ্গে শাকিব খানকে জড়িয়ে মুখরোচক কথা বলা, একমাত্র সন্তানের জন্মদিন বাবা শাকিব খানের অর্থে উদ্যাপন করা হলেও দাওয়াতপত্রে শুধু মা অপুর স্থিরচিত্র ব্যবহার করা, আর গত কয়েক মাসে দেশের সিনেমায় যাঁরা প্রকাশ্যে শাকিব খানের বিরোধিতা করছিলেন, তাঁদের সঙ্গে অপুর সুসম্পর্ক বজায় রাখা এবং কাজ করা।
এর আগে বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে অপু বলেন, ‘আমি ডিভোর্স নিয়ে এখনই কিছু বলব না। আর বিবাহবিচ্ছেদ হলে আপনারা তখন জানতেই পারবেন। বিষয়টি একান্তই ব্যক্তিগত। যদি এমন কিছু ঘটে, তা আমি নিজেই আপনাদের ডেকে জানাব।’