বৈশ্বিক অভিবাসন চুক্তি থেকে সরে দাঁড়াল আমেরিকা

Slider সারাবিশ্ব

17f13dbf70f49fdf4694130688433727-5a2432e8bb834

 

 

 

 

বৈশ্বিক অভিবাসন চুক্তি থেকে সরে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। মার্কিন সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করছে এমন যুক্তি দেখিয়ে ২ ডিসেম্বর বৈশ্বিক এ চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জাতিসংঘকে জানিয়েছে আমেরিকা।

শরণার্থী ও অভিবাসন বিষয়ে গত বছর নিউইয়র্ক ঘোষণা দেয় জাতিসংঘ। শরণার্থী ও অভিবাসীদের অধিকার রক্ষা, পুনর্বাসন এবং শিক্ষা ও কাজের সুযোগ করে দেওয়ার লক্ষ্যে বৈশ্বিক এ উদ্যোগের সঙ্গে শুরু থেকেই যুক্ত ছিল আমেরিকা। এ ঘোষণায় অভিবাসীদের সঙ্গে স্বাগতিক আচরণের একটি মানদণ্ড নির্ধারণ ও তা মেনে চলার লক্ষ্যে একটি বৈশ্বিক চুক্তির কথা বলা হয়। সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে চুক্তিটি আগামী বছর গ্রহণ করার কথা। কিন্তু এর মধ্যেই উদ্যোগটি থেকে সরে দাঁড়াল মার্কিন প্রশাসন।

জাতিসংঘের নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি জাতিসংঘের মহাসচিবকে চুক্তিটি থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে অবহিত করেন। এ বিষয়ক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সারা বিশ্বের শরণার্থী ও অভিবাসীদের প্রতি আমেরিকা আগের মতোই নিজের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে। তবে অভিবাসন সম্পর্কিত যেকোনো সিদ্ধান্তই হবে একমাত্র আমেরিকানদের দ্বারা।

a0e95ed77b35cecc4d10b5a850ff43db-5a2432e8bca49

 

 

 

 

চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ হিসেবে নিকি হ্যালি জানান, এ চুক্তিতে এমন কিছু অংশ রয়েছে যা আমেরিকার অভিবাসন নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। শরণার্থী ও অভিবাসন নিয়ে আমেরিকা অনেক কাজ করছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বৈশ্বিক প্রস্তাবটি মার্কিন সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকিস্বরূপ। এ অবস্থায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তিটি থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একই সঙ্গে জানিয়েছেন যে, আমেরিকার অভিবাসন বিষয়ক সিদ্ধান্ত একমাত্র আমেরিকাই নেবে।

নিকি হ্যালি বলেন, ‘আমাদের সীমান্ত কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করব এবং কারা আমাদের দেশে প্রবেশ করবে, তার সিদ্ধান্ত আমরাই নেব।’

আমেরিকার এ সিদ্ধান্তে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতি হতাশা ব্যক্ত করেছেন বলে জানিয়েছে সিএনএন। এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসনকে কোনো একটি দেশের পক্ষে মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে আমেরিকার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ঐতিহাসিকভাবেই আমেরিকা অভিবাসীবান্ধব হিসেবে পরিচিত। এ ক্ষেত্রে তারা বিরাট ভূমিকাও পালন করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা অভিবাসীদের নিজের ঘর হয়ে উঠেছে দেশটি। সারা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক অভিবাসী রয়েছে আমেরিকায়। ফলে অভিবাসন সংকট মোকাবিলায় তাদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা রয়েছে। ফলে অভিবাসন বিষয়ক এমন একটি উদ্যোগ থেকে তাদের সরে দাঁড়ানোটা ভীষণ হতাশাজনক।’

৪ ডিসেম্বর মেক্সিকোর পুয়ের্তো ভ্যালার্তায় অনুষ্ঠিত হবে অভিবাসনের ওপর বৈশ্বিক সম্মেলন। এর ঠিক একদিন আগেই অভিবাসন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সবচেয়ে বড় উদ্যোগটি থেকে সরে দাঁড়াল আমেরিকা। এর আগে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে প্যারিস চুক্তি থেকেও নিজেকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। আর কিছুদিন আগে জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা ইউনেসকো থেকেও সরে দাঁড়ানোর ঘোণা দেয় আমেরিকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *