রাতুল মন্ডল শ্রীপুর (গাজীপুর)প্রতিনিধি:
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামে ১ম শ্রেণীর এক ছাত্রী (৭) ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষিতা ছাত্রী একই গ্রামের কুদ্দুস আলীর কন্যা। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ১ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। (০৩ ডিসেম্বর রোববার রাতে ওই ঘটনা ঘটে)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহতের পিতা কুদ্দছ আলী বয়োবৃদ্ধ অসুস্থ্য। তার মা রমিজা খাতুন অন্যের বাড়ীতে ঝিঁয়ের কাজ করে সংসার চালায়। ক’দিন ধরেই রমিজা অসুস্থ্য স্বামী কন্যাকে রেখে আতœীয় বাড়ীতে যায়। মৌসুমীর সৎ বড় ভাই ইদ্রিস আলী রাতে পাশের গ্রামে বাউল গানশুনে। ভোর পাঁচ টারদিকে এসে মৌসুমীকে নিহত অবস্তায় দেখতে পায় । নিহতের মা রমিজার অভিযোগ ফাঁকা বাড়ীতে একই গ্রামের আঃ আউয়ালের ছেলে জয় (১৫) তার মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে। ধর্ষণের সাথে জরিত থাকার সন্দেহে ধর্ষিতার সৎ ভাইকে আটক করেছে পলিশ। সরেজমিনে দেখাযায় ঘটনার পর থেকে জয় পলাতক রয়েছে।
গাজীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র ও একই গ্রামের আঃ আউয়ালের ছেলে জয় (১৫) তার নানা মৌসুমীদের প্রতিবেশী করম আলীর বাড়ীতে থেকে লেখা পড়া করতো।
ক’দিন ধরেই জয় মৌসুমীকে উত্যক্ত করে আসছে। মৌসুমী ঘটনাটি তার মা রমিজাকে জানায়। শনিবার সকালে রমিজা জয়ের নানার বাড়ীতে গিয়ে ঘটনাটি তার নানা নানিকে জানায়। বিকেলে রমিজা অসুস্থ্য স্বামী কন্যাকে রেখে আতœীয় বাড়ীতে যায়। মৌসুমীর সৎ বড় ভাই ইদ্রিসআলী বলে সে রাতে পাশের গ্রামে বাউল গানশুনে। ভোর পাঁচ টায় এসে মৌসুমীকে নিহত অবস্তায় দেখতে পায় । নিহতের মা রমিজার অভিযোগ ফাঁকা বাড়ীতে জয় তার মেয়েকে পরিকল্পিত ভাবে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে। সরেজমিনে দেখাযায় ঘটনার পর থেকে জয় পলাতক রয়েছে। তদন্ত কারী কর্মকর্ত শ্রীপুর থানার উপ পুলিশ পরিদর্শ এখলাশ উদ্দিন জানায় এটি ধর্ষণের পর হত্যাকান্ড। নিহতের গোপনাঙ্গ দিয়ে রক্ত জড়ছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্নরয়েছে। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ লাশ উদ্ধার করছে।