প্রেমিকের টানে ছয সন্তান কে রেখেই উড়াল

বিচিত্র

dsf1ছয় সন্তানকে ঘরে রেখে প্রেমিকের জন্য যুক্তরাজ্য থেকে উড়ে চলে গেলেন অস্ট্রেলিয়ায়। যাবার সময় বলে গেলেন, তিনি সুপার মার্কেটে যাচ্ছেন। ফিরে আসবেন দ্রুতই। ছোট পাঁচ সন্তানের দায়িত্বে বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন ১৪ বছর বয়সি বড় সন্তানের হাতে।
এর পর নিখোঁজ। ফিরে এলেন ছয় সপ্তাহ পর। এই ছয়টি সপ্তাহ ছিলো তার গর্ভকালিন ছুটি। অর্থাৎ তিনি তখন নতুন আরেক সন্তানের জন্ম দিতে যাচ্ছেন।৪৩ বছর বয়সি এই নারী থাকতেন যুক্তরাজ্যের বিরমিংঘামে। আইনি কারণে সংবাদ মাধ্যমে তার নাম প্রকাশ হয়নি। তিনি অনলাইনে অস্ট্রেলিয়াবাসী এক চীনা লোকের প্রেমে জড়িয়ে গিয়েছিলেন।
আদালতের শুনানিতে বলা হয়, বিকেল পাঁচটায় বেরিয়ে যাওয়ার পর দীর্ঘ সময় মায়ের ফেরার অপেক্ষা করছিলো কিশোর সন্তান। কিন্তু চার ঘন্টা পরও ফিরে না আসায় সে তার নানা, নানীকে ফোন করে। তারা পুলিশে খবর দেন। রাত একটার দিকে বাড়িতে পুলিশও আসে।
বাড়িটি তখন উষ্ণ থাকলেও একেবারেই নোংরা ছিলো। পুলিশ সন্তানদের সাথে কথা বলে জানতে পারে, একটু আগে মা তাদেরকে মেসেজ করে জানিয়েছেন, তিনি পরের দিনের আগে ফিরতে পারবেন না।পরে মায়ের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে পুলিশ। তখন লন্ডনের হিথ্রু বিমান বন্দরে সিডনির বিমানের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু পরিবার ও পুলিশের ফোনে সাড়া দেননি এই নারী।
পরে এ বছর ফেব্রুয়ারিতে প্রেমিকের কাছ থেকে যুক্তরাজ্যে ফিরে আসার পর তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালত তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয় এবং দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়
বিচারক মুরে ক্রেড এ নারীর কিশোর ছেলের উপস্থিত বুদ্ধির প্রশংসা করে বলেন, ছেলেটা বুদ্ধিমানের কাজ করেছে।
তিনি জানান, সিডনি থেকে তাকে বিমানের খরচ পাঠিয়েছিলো চীনা প্রেমিক।রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি বলেন, বাবা হারা এ সন্তানদের একমাত্র অভিভাবক মা। সে তার নিজের বাবা, মা এবং পুলিশের মেসেজকে উপেক্ষা করে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। তাছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকেও নিষ্ক্রিয় করে রেখেছে। এটা অপরাধ।
বিরমিংহাম ক্রাউন আদালত শিশুদের কার্ড দেখিয়ে বলেন, ছয় সন্তানের দুইজন ছেলে এবং চারজন মেয়ে। এরা
মায়ের উদ্দেশে মেসেজ পাঠিয়েছিলো ‘আমরা তোমাকে মিস করছি মা। তোমাকে দ্রুত দেখতে চাই।’
আদালতে মহিলার আইনজীবি জন স্মিথম্যান বলেন, এই নারী একজন ভালো মা। তবে চীনা লোকের সাথে অনলাইনে সম্পর্কে জড়ানোর আগে এক আফ্রিকানের সাথে অবমাননাকর সম্পর্কে জড়িয়ে যায়। এ কারণে তার মানসিকতায় পরিবর্তন আসে।
তার এক প্রতিবেশি বলেন, সে আসলেই ভালো মা। সন্তানদের প্রচণ্ড ভালোবাসে। কিন্তু কেন এমন কাজ করলো আমি জানি না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *