কালিয়াকৈর প্রতিনিধিঃ
২০১৩ সালে বিএনপি জামাত কর্তৃক নির্যাতিত একটি পরিবার বর্তমান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর কাছে গিয়েও ন্যায় বিচার পাচ্ছে না।উল্টো হামলাকারীদের পুনরায় নির্যাতনের স্বীকার হয়ে সর্বস্ব খুইয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।আজও তিনি হামলার স্বীকার হচ্ছেন।
ঘটনার বিবরনের প্রকাশ, ২০১৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিএনপি জামাতের হরতাল চলাকালে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানাধীন শফিপুর বাজারে একটি লেগুনা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় হরতাল সমর্থকরা।এতে লেগুনার মালিক স্ত্রানীয় আন্দারমানিক গ্রামের মো খাজা মইনুদ্দিন তার বাতিজা সহ আহত হয়।এসময় মইনুদ্দীনের বাতিজা , , অগ্নিদগদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ভর্তি হয়।তিন মাস চিকিৎসার পর আহতকে বাড়িতে আনা হয়।বর্তমান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এমপি থাকা অবস্থায় আহতকে বাড়িতে গিয়ে দেখে ৫০০০ টাকা সাহায্য করেন।এরপর স্থানীয় মৌচাক ইউনিয়ন পরিষদে ঘটনাটি আপোষ মীমাংসা করা হয়।পরিষদে লেগুনা অগিসংযোগের মামলা বাদী খাজা মইনুদ্দীনের কাছ থেকে খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়া হয়।পরিষদের মীমাংসা পত্রে আসামীদেরকে ১৫০০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।এরপর বিচারের রায়ের আলোকে আদালতে গিয়ে খাজা মইনুদ্দীন আপোষের কথা স্বীকার করে, কিন্তু জরিমানার টাকা পায়নি।আদালত থেকে বাড়ি ফেরার পর বিচারকদের পিছনে পিছনে ঘুরেও টাকা উদ্ধার করতে পারেনি খাজা মইনুদ্দিন।এরপর টাকা চাইতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলা ও লুটপাটের স্বীকার হয় মইনুদ্দীনের বোন খোদেজা বেগম ও তার পরিবার।প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা খোদেজা বেগমের বাড়িঘর লুটপাট করে, মারধর করে।এই ঘটনায় খাজা মইনুদ্দীন ও তার বোন খোদেজা বেগম বর্তমান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপির সাথে সাক্ষাৎ করে এবং ন্যায় বিচার প্রার্থনা করে।ঘটনা শুনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী কালিয়াকৈর থানার ওসিকে বিষয়টি তদন্তপুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেয়।কিন্তু কালিয়াকৈর থানার তৎকালীন ওসি ওমর ফারুক আসামীপক্ষ হয়ে মন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে খাজা মইনুদ্দীন গং এর নামে মামলা মোকদ্দমা দিয়ে পুরো পরিবারকে জেল খাটায়।এতে রক্ষা পায়নি খাজা মইনুদ্দীনের প্রতিবন্ধী ভাগনেও।পরবর্তী সময় ওসি ওমর ফারুক বদলী হওয়ার পর নতুন ওসি আব্দুল মোতালেব খাজা মাইনুদ্দীনের পক্ষে একটি চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
পরবর্টি সময় আসামীরা একাধিকবার খাজা মাইনুদ্দীনের ওপর এবং তার স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির ওপর হামলা করে।
মইনুদ্দীন জানান, আজ রোববার সকালে প্রতিপক্ষ আসামীরা তার বাড়িতে স্বশস্ত্র হামলা, লুটপাট করে।এসময় বাড়িতে কেউ না থাকায় তিনি ও তার পরিবার প্রানে বেচে যান। প্রতিপক্ষের ভয়ে তিনি থানায় প্রতিকারের জন্য যেতা পারছেন না বলে জানান তিনি।
এমতাবস্থায় বিএনপি জামাতের আমলে নির্্যাতিত খাজা মইনুদ্দীন বর্তমান সরকারের আমলে নির্্যাতিত হইছে।এমপি মন্ত্রী কারো কাছে গিয়ে তিনি কোন প্রতিকার পাননি।