ভারতীয় এই অভিনেতারা বলিউড জগতে না থাকলেও টেলিভিশনের মাধ্যমে সকলের হৃদয় জয় করেছেন। বলিউডের যে কোনও বড় তারকার মতো এদেরও প্যান ফলোয়িং আছে।
অর্থ উপার্জনের দিকে থেকেও এরা বলিউড থেকে পিছিয়ে নেই।
মিশাল রাহজা
মিশাল রাহজার জন্ম হয়েছে মুম্বাইতে। ২০০৫ সালে এমটিভির ‘প্রেম বায়ার ও অল দ্যাত’ দিয়ে অভিনযে জীবন শুরু করেন। লাগি তুজসে লাগান দিয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেন। সোনি টিভিতে ‘এনকাউন্টার’ পুলিশ অফিসারের ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি প্রতি এপিসোডে ১.৬ লক্ষ টাকা উপার্জন করেন। বর্তমানে মিশাল ‘ইশক কা রাঙ সাফেড’ তে ভিপ্লাভের চরিত্রে অভিনয় করছেন।
অঙ্কিতা লোখান্ডে
এখন টিভির জগত্ থেকে প্রায় অদৃশ্য হয়ে গেছেন। কিন্তু তিনি বহু উল্লেখযোগ্য কাজ করেছেন।
‘পবিত্রা রিস্তা’ অর্চনা দেশমুখের চরিত্র এখনও সবার মনে আছে। এই ভূমিকা তাঁকে প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী হয়ে উঠতে সাহায্য করেছে। অঙ্কিতা প্রতি এপিসোডে ৯০০০০ থেকে ১.৫ লক্ষ টাকা উপার্জন করেন।
রণিত রায়
রনিত রায়ের জন্ম নাগপুরে। অনেকেই জানেন না হয়েতো রণিত তাঁর অভিনয়ের জীবন শুরু করেছিলেন সিনেমা অভিনয়ে দিয়ে। কিন্তু তার সমস্ত চলচ্চিত্রগুলি ফ্লপ হতে থাকে। ‘কসাউটি জিন্দগি কি’ রিসাভ বাজাজ এবং ‘কিউকি সাস ভি কভি বাহু থি’ মিহির বিরাণীর চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয় হয়েছেন। রণিত প্রতি পর্বের জন্য ১.২৫ লক্ষ টাকা আয় করেন।
হিনা খান
হিনা খানের জন্ম হয়েছে শ্রীনগরে। তিনি প্রাথমিকভাবে মুম্বাইয়ে এয়ার হোস্টেস হওয়ার জন্য এসেছিলেন। কিন্তু ভাগ্যক্রমে ‘ইয়ে রিষ্টা ক্যা কাহলাতা হ্যে’ অক্ষরা চরিত্রে অভিনয় করে ঘরে ঘরে জনপ্রিয় হয়ে যান। তিনি প্রতিটি এপিসোডে ১ লক্ষ থেকে ১.৫ লক্ষ টাকা উপার্জন করেন।
রাম কাপুর
আজকের সবচেয়ে প্রভাবশালী ভারতীয় টেলিভিশন অভিনেতাদের মধ্যে একজন। ‘ঘর এক মন্দির’, ‘রিস্তা’, ‘কাশাম সে’ শোতে কাজ করে প্রচুর প্রশংসা পেয়েছেন। এছাড়া তাঁকে বহু বলিউড সিনেমায় অভিনয় করতে দেখা গেছে। তিনি প্রতি এপিসোডে ১.২৫ লক্ষ টাকা উপার্জন করেন।
শিবাজী সাতম
ভারতীয় টেলিভিশনে সি.আই.ডি দীর্ঘতম চলমান অনুষ্ঠানগুলির মধ্যে একটি। সি.আই.ডি তে এসসিপি প্রডুউডিন চরিত্রে অভিনয় করেন। অভিনয় জগতে আসার আগে তিনি সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াতে একজন ক্যাশিয়ার হিসেবে কাজ করতেন। তিনি উপার্জন করেন এক লক্ষা টাকা।
দিভাঙ্কা ত্রিপাঠী
ভোপালের মেয়ে দিভাঙ্কা ‘বনু ম্যে তেরি দুলাহান’ থেকে অভিনয়ের জীবন শুরু করেন। তিনি সেরা অভিনেত্রীর জন্য ভারতীয় টেলিভিশন একাডেমী পুরস্কারও জিতেছিলেন। তিনি প্রায় ১৪ সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন। সবথেকে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছেন ‘ইয়ে হ্য মহবাতে ‘ থেকে। ২০০৫ সালে তিনি মিস ভোপাল হন। প্রতি এপিসোডে ৮০০০০ থেকে ১ লক্ষ টাকা উপার্জন করেন।
করন প্যাটেল
করন অভিনয়ের জীবন শুরু করেছিলেন ২০০০ সালে ‘কাহানী ঘর ঘর কি’ থেকে। তিনি জি গোল্ড অ্যাওয়ার্ডস (২০১৪-১৬),ভারতীয় টেলিভিশন একাডেমী পুরস্কার (২০১৫) শ্রেষ্ঠ রোমান্টিক অভিনেতা, এবং ভারতীয় টেলি পুরষ্কারে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার পান। প্রতি এপিসোডে এক লক্ষ টাকা উপার্জন করেন।
মোহিত রায়না
জম্মুতে বড় হয়েছেন মোহিত রাযনা এবং মুম্বইতে মডেল হতে আসেন। একটি টিভি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁর অভিনয়ের জীবন শুরু করেন। ‘দেবো কে দেব মহাদেব’ এবং ‘অশোকা’ তে সম্রাট অশোকের চরিত্রে অভিনয় করেন। রায়না প্রায় এক লক্ষ টাকা উপার্জন করেন।
সাক্ষী তানওয়ার
দূরদর্শনে শো-র সঞ্চালক হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন ‘কাহানী ঘর ঘর কি’ পার্বতী আগরওয়ালের চরিত্র দিয়ে। তিনি ‘বালিকা বধু’ এবং ‘ক্রাইম প্যাট্রোল’ সহ বেশ কয়েকটি টিভি শো করেছন। তিনি ‘বাড়ে আচ্ছে লাগেটে হো’ তে রাম কাপুরের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন। সম্প্রতি, তিনি ‘দঙ্গল’ ছবিতে আমির খানের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা পেয়েছেন। সাক্ষী ভারতীয় টেলি পুরস্কার (শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী), স্টার গিল্ড পুরস্কার (শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী), স্টার পারিবার অ্যাওয়ার্ড (প্রিয়ভাবি), এবং আইটিএ পুরস্কার (শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী) সহ বেশ কিছু পুরষ্কার পেয়েছেন। আশি হাজার টাকা আয় করেন প্রতি এপিশোডে।