উপমহাদেশে ক্রিকেট মানেই উন্মাদনা। জিতলে যেমন উৎসবে মেতে ওঠে সবাই, তেমনি হারলে ক্রিকেটারদের গাড়ি এমনকী বাড়ি-ঘরে হামলার ইতিহাসও আছে।
কিন্তু এমন অসংখ্য মানুষ আছে যাদের কাছে ক্রিকেট নিয়ে এই উন্মাদনার কোনো মানে নেই। তারা এক বেলার খাবার জোটাতে ভিক্ষা করে চলেন। অনেক সুপারস্টার ক্রিকেটার আছেন যারা নিরবে এইসব মানুষের পাশে দাঁড়ান। শচীন-ধোনিরা তাদের কাছে ক্রিকেট তারকা হয়তো নন; তার চেয়েও বেশি কিছু। আজ শুনুন সেই গল্প।
ঘটনাস্থল ভারত। দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানোয় সবার আগে যার নাম করতে হয় তিনি জাতীয় দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। বিশ্বের ভয়ঙ্করতম এই ব্যাটসম্যান মাঠের মধ্যে দাপিয়ে বেড়ানোর পাশাপাশি দেশের অন্যতম এক দানবীর হিসেবেও খ্যাত। কিন্তু এসব বিষয়ে প্রচারবিমুখ তিনি।
কোহলি নিজেই একটি চ্যারিটি সংস্থা পরিচালনা করেন। এই সংস্থার মাধ্যমে নিয়মিত অসংখ্য দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ান কোহলি।
কোহলির থেকে পিছিয়ে নেই সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিও। ক্যাপ্টেন কুল তার রাজ্য ঝাড়খণ্ডের মানুষদের জন্য সব সময় সাহায্য়ের হাত বাড়িয়ে দেন। প্রত্যহ বহু মানুষ উপকৃত হন ধোনির সৌজন্যে।
দলের তারকা ওপেনার রোহিত শর্মাও নিয়মিত পাশে দাঁড়ান দুঃস্থ মানুষদের। ভিক্ষাজীবী মানুষদের নিয়মিত অর্থ সাহায্য করেন রোহিত। এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে তিনি যুক্ত আছেন এই কাজে।
সাবেক ক্রিকেটারদের মধ্যে ক্রিকেট ঈশ্বর শচীন টেন্ডুলকারের দান করার কাহিনি প্রায় মিথের পর্যায়ে চলে গেছে। দান করার খবর প্রকাশ্যে যাতে না আসে সেটাও তিনি নিশ্চিত করতেন। যদিও তা গোপন থাকেনি।
বীরেন্দ্র শেবাগও দরিদ্র মানুষের জন্য সাহায্য়ের হাত বাড়িয়ে দেন। এছাড়া এই মুহূর্তে দলের বাইরে থাকা গৌতম গম্ভীরও দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের দান করেন বলে জানা যায়। নিজেদের আয় করা মোটা অঙ্কের টাকার একটা বড় অংশই এই সব ক্রিকেটাররা এই ভাবে দান করেন বিপন্ন মানুষদের। বাইশ গজের বাইরেও জিতে নেন সবচেয়ে বড় ট্রফি-দুঃখী মানুষের ভালোবাসা।