ডেস্ক : আচমকা বমি বমি ভাব হওয়ায় আর্মস্টং নামের এক স্কটিশ কিশোরী ভেবেছিলেন খাদ্যে বিষক্রিয়ার জন্য তার এরকমটি হচ্ছে। আর এ জন্য তিনি দৌড়ে যান টয়লেটে। আর সেখানেই এক ফুটফুটে বাচ্চার জন্ম দিয়েছেন এই স্কটিশ!
আর্মস্টং যে গর্ভবতী ছিলেন সে বিষয়ে তার কোন ধারণাই ছিল না। তাই সোমবার কাজ থেকে ফিরে বমি বমি ভাবের পর যান টয়লেটে। সেখানে যাওয়ার পর তার সঙ্গীর মা বিষয়টি বুঝতে পারেন এবং সে ও তার মেয়ে মিলে আর্মস্টংয়ের ধাত্রীর কাজটি করে ফেলেন বাড়ির টয়লেটেই।
এ বিষয়ে আর্মস্টং বলেন, আমি যে গর্ভবতী ছিলাম সে বিষয়ে আমার কোন ধারণাই ছিল না। রোববার রাতের খাবার গ্রহণের পর থেকেই আমার শরীর খারাপ লাগছিল এবং আমি মনে করেছিলাম খাদ্যে বিষক্রিয়ার জন্য এমনটি হচ্ছে। আমি সোমবার সকালে কাজে যাই এবং বিকাল ৫টায় বাসায় ফেরার পর বমি বমি ভাবের জন্য টয়লেটে যাই এবং তখনই আমার সঙ্গীর মা বুঝতে পারেন আমি সন্তান জন্ম দিতে যাচ্ছি। তখন তিনি এবং তার মেয়ে মিলে টয়লেটের মেঝেতেই বাচ্চা প্রসবে আমাকে সাহায্য করেন। জন্মের পর বাচ্চা ও মা দুজনকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং দুই রাত তার বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে থাকেন।
এ সময় আমার সঙ্গী বাহিরে থাকলেও ফোন কল পাওয়ার সাথে সাথেই সে বাড়িতে চলে আসেন। আর্মস্টং দুই ঘন্টার প্রসব দানের সময়কে বর্ননা করেছেন সত্যিকার পারিবারিক সহযোগিতার উদাহরণ হিসেবে।
প্রসবের এক মাস আগে তিনি বিকিনি পরে মাল্টা সৈকতে ঘুরে বেড়িয়েছেন বলে জানান আর্মস্টং। আর হঠাৎ এই বাচ্চা জন্মের পর সবাই খুব আনন্দিত বলে জানিয়েছেন তিনি।