ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবু তাহেরের বিরুদ্ধে এক ব্যক্তিকে গুলি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত ওই ব্যক্তির নাম মো. শাহজাহান। তিনি মিরপুর এলাকার ভূঁইয়া পরিবহন নামের একটি বাসের মালিক। শাহজাহানের ভাই শামীম এ অভিযোগ করেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আবু তাহেরের পিস্তল থেকে করা চারটি গুলি লেগেছে শাহজাহানের হাত ও পায়ে। বর্তমানে তিনি শ্যামলীর ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় আজ শুক্রবার আবু তাহেরের বিরুদ্ধে রাজধানীর দারুসসালাম থানায় শাহজাহান নিজেই মামলা করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কমিশনার তাহেরের বাসা দারুসসালাম থানার গোইদারটেক এলাকায়। তাঁর বাসার সামনে একটি গ্যারেজ রয়েছে। সেখানে বাস রাখা হয়। প্রতিদিনই রাত ১০টার দিকে ওই বাসের চালক সেখানে বাস রাখতে যান। গতকাল একটু দেরি হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই গ্যারেজে বাস রেখে চালক ও সহকারীর কাছ থেকে হিসাব বুঝে নিচ্ছিলেন বাসের মালিক শাহজাহান। এমন সময় হঠাৎ আবু তাহের মদ্যপ অবস্থায় সেখানে এসে চিৎকার শুরু করেন। এ সময় তাঁর হাতে পিস্তল ছিল। এটা দেখে বাসের চালক ও সহকারী পালিয়ে যান। তখন আবু তাহের শাহজাহানকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। তাঁর ডান পায়ের হাঁটুর ওপরে দুটি ও নিচে একটি এবং ডান হাতে একটা গুলি লাগে। স্থানীয় লোকজন শাহজাহানকে আহত অবস্থায় শ্যামলীর ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে পুলিশের ঢাকা মহানগর এলাকার দারুসসালাম জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) সৈয়দ মামুন মোস্তফা বলেন, এ ঘটনায় আজ শুক্রবার শাহজাহান নিজেই বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আবু তাহেরের বাসা থেকে আজ তাঁর ব্যবহৃত লাইসেন্স করা পিস্তলটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাহের পলাতক রয়েছেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
ঘটনার সময় আবু তাহের মদ্যপ ছিলেন কি না, এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসি সৈয়দ মামুন মোস্তফা বলেন, ‘কয়েকজনের কাছে বিষয়টি শুনেছি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, বর্তমানে দারুসসালাম থানা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটিতে আবু তাহেরের নাম রয়েছে। তিনি আগে বিএনপিতে ছিলেন। পরে স্থানীয় এক শীর্ষ আওয়ামী লীগ নেতার ছত্রচ্ছায়ায় তিনি নিজেকে আওয়ামী লীগের নেতা পরিচয় দিতে শুরু করেন। তাঁর ভাই রায়হান এখনো বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।