অবাক পৃথিবী! সোনার ডিম পাড়া হাঁসের গল্প আমরা অনেকেই পড়েছি। কিন্তু বাস্তবের ঘটনায় দেখা যাচ্ছে হাঁসের জায়গায় আসলে হবে গরু। গরুর উপকারিতা নিয়ে স্কুল জীবনের প্রথম রচনাতে নানা ‘ক্রিয়েটিভ-কসরত’ আমরা কমবেশি সবাই করেছি। কিন্তু বিশ্বে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যার চটজলদি কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা হয় না। উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়া জেলার গরুটির ঘটনাটিও খানিকটা সেই গোত্রেরই। দেওরিয়া জেলার একটি গরু গত ৭ বছর ধরে একনাগাড়ে প্রত্যেক দিন কয়েক লিটার করে দুধ দিয়ে যাচ্ছে। অথচ গরুটি একবারও গর্ভবতী হয়নি।
গ্রামের লোকে তার নাম দিয়েছে কামধেনু। অনেকে দেবতা জ্ঞানে পুজোও করে। তা বটে! এরকম অতিপ্রাকৃতিক ঘটনা ঘটালে মানুষের আর দোষ কি! গরুটির মালিক ভরত জানালেন, ২০০৭ সালে জন্ম হয় গরুটির। একটু বড় হতেই সে হঠাত্ দুধ দিতে শুরু করে। গর্ভবতী হলে বা বাছুরের জন্ম দিলে গরু দেয়। এটাই প্রাকৃতিক নিয়ম। কিন্তু কামধেনুর ক্ষেত্রে বিষয়টি একেবারেই অন্যরকম হয়। চিকিৎসকরা জানান, গরুটি গর্ভবতী হয়নি। এবং সেই শুরু। গত সাত বছরে একটি বাছুরও জন্ম দেয়নি গরুটি। অথচ রোজ নিয়ম করে দিনে দুই বার কম করে চার লিটার দুধ দেয় এই গরু। চিকিৎসকরাও এর কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।
এই আশ্চর্য গরুটিকে কেনার জন্য বহু লোক ভরতকে মোটা অঙ্কের টাকার প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু ভরত সব প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে। ভরতের কথায়, কয়েক মাস আগেই বিহারের এক ব্যক্তি গরুটি কেনার জন্য এক লাখ টাকার প্রস্তাব দেন। তবে গরুটি আদৌ বিক্রি করতে নারাজ তিনি। গ্রামের মানুষও চায় না, তাদের সাধের কামধেনু বেহাত হয়ে যাক।