গাজীপুর অফিস: বার বার ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে অস্যখ্য মানুষকে দন্ড দিলেও বন্ধ হচ্ছে না আবাসিক হোটেলের পতিতা ব্যবসা। দন্ড আর ব্যবসা চলছে সমান তালে। এ নিয়ে অভিযোগ থেকেই যাচ্ছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে।
আজ বৃহসপতিবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, গাজীপুর মহানগরের রাজমনি, নিউরাজ, রয়েল, প্যারেইড, এশিয়া, বিলাস, নিউ রাজধানী, রোজ গার্ডেন, রাজধানী, ময়নামতি, স্বাগতম, অনামিকা, পূর্নিমা, সুন্দরবন, হলিডে ইন, বৈশাখী, রোজভ্যালী, হোটেল স্বাগতম, রেইনবো, ড্রীমল্যান্ড, ইয়ার, মডার্ন, অতিথি, বনভোজন ও মুন সহ জেলার বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য আাবসিক হোটেলে চলছে পতিতা ব্যবসা। এ সব হোটেলে নিয়মিত যাতায়াত করছে কম বয়সী ছেলে-মেয়েরা।
স্থানীয়রা বলছেন, প্রশাসনের লোকজন মাঝে মাঝে এসে রেট করে খদ্দের-পতিতা ধরে নিয়ে যায়। অপরেশন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবার শুরু হয় একই ব্যবসা।
হোটেল গুলোর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র বলছে, অভিযান হওয়ার পর আবার ব্যবসা শুরু করতে সমস্যা হয় না। কারণ একই জায়গায় বার বার রেট কম হয়। এ ছাড়া প্রশাসনের কিছু লোকের সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় অভিযানের খবর আগেই পাওয়া যায়। ফলে সতর্ক থাকতে কোন সমস্যা হয় না।
গাজীপুরের সাধারণ মানুষ বলছেন, জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের যৌথ আয়োজনে অভিযান হলে পতিতা ব্যবসা বন্ধ হতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু অভিযানে জেলা প্রশাসনের টিমে আনসার সদস্য বা র্যাব অংশ নেয় কিন্তু পুলিশ দেখা যায় নি। আাবার পুলিশি অভিযানে জেলা প্রশাসনের ম্যাজিষ্ট্রেট থাকে কম। তাদের দাবী, জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের যৌথ আয়োজনে অভিযান হলে এই অবৈধ ব্যবসা বন্ধ হওয়া সম্ভব।
এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, অভিযান চলছে। চলবে।