তিন দিনের সফরে ৩ ডিসেম্বর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়ায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোহিঙ্গা ফেরাতে এ সফর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সফরকালে নমপেনের প্রধান সড়কের নাম বঙ্গবন্ধুর নামে করা হবে। এ ছাড়া ১১টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকও সই করা হবে। এ উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডাকা এক প্রেস বিফ্রিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী এ কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অনুরূপ কম্বোডিয়ার প্রয়াত রাজা নরোদম সিহানুকের নামে বারিধারার কূটনৈতিক এলাকায় পার্ক রোডের নামকরণ করা হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা এবার বৌদ্ধপ্রধান দেশে যাচ্ছি। রোহিঙ্গা ফেরাতে এ সফর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাদের সঙ্গে আমাদের আগে থেকেই হৃদ্যতার সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বলেন, কম্বোডিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক কোনো দূতাবাস নেই। সফরে দুই দেশের মধ্যে দূতাবাস খোলার বিষয়েও কথা হতে পারে।
এ ছাড়া রোহিঙ্গা ইস্যুটিও আসবে। মিয়ানমারের প্রতিবেশী দেশ কম্বোডিয়া। রোহিঙ্গা ফিরিয়ে নিতে তারাও কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে।
কম্বোডিয়ার উত্তর-পূর্বে লাওস, পূর্বে ও দক্ষিণ-পূর্বে ভিয়েতনাম, পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিমে থাইল্যান্ড এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে থাইল্যান্ড উপসাগর। নমপেন দেশটির রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। পোপের ঢাকা সফর সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পোপের এ সফর আমাদের জন্য গৌরব ও গর্বের। আমরা রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে বিপদে আছি। পোপের এ সফর আমাদের জন্য আলাদা গুরুত্ব বহন করে। রোহিঙ্গা সংকটে পোপ আমাদের পাশে আছেন বলে আগেই জানিয়েছেন।