জঙ্গি কার্যক্রমে পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগে বন্ধ করে দেওয়া রাজধানীর ধানমণ্ডি ও গুলশানের লেকহেড গ্রামার স্কুলের পরিচালনা পর্ষদ (ম্যানেজমেন্ট) ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের যাবতীয় তথ্য সুপ্রিম কোর্টে উপস্থাপন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে এ তথ্য উপস্থাপন করে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
লেকহেড স্কুলের ম্যানেজমেন্ট ও শিক্ষক-শিক্ষিকা কেউ জঙ্গিবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কি-না, সে বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের প্রতিবেদনও এসে পৌঁছেছে। এ প্রতিবেদনগুলোর ওপর শুনানির জন্য রবিবার দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।
স্কুলটির কার্যক্রম বন্ধের পর এ সিদ্ধান্ত কেন আইনগত কর্তৃত্ব-বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, বন্ধ করে দেওয়া লেকহেড স্কুলের মালিককে স্কুলটি খোলা ও পরিচালনা করতে দেওয়ার জন্য কেন বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হবে না মর্মে গত ৯ নভেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। স্কুলটির মালিক খালেদ হাসান মতিন ও ১২ শিক্ষার্থীর অভিভাবকের রিট আবেদনে প্রেক্ষিতে ওই রুল জারি করা হয়। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ, ব্যারিস্টার আখতার ইমাম। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
প্রতিবেদন উপস্থাপনের বিষয়ে রাশনা ইমাম সাংবাদিকদের বলেন, স্কুলের কেউ জঙ্গিবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কি-না, সে বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ১৯ নভেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতে বলেছেন, রিপোর্টটি এসে পৌঁছেছে।
তারা এটা দেখার সুযোগ পাননি। দেখে এ বিষয়ে শুনানি করবেন। তখন আদালত তাদের একদিন সময় দেন। বিষয়টি আবার রবিবার শুনানির জন্য আসবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে স্কুলে কর্মরত যারা যারা আছেন, স্কুলের ধানমন্ডি ও গুলশান শাখার শিক্ষক-শিক্ষিকা-ম্যানেজমেন্টের সমন্বিত একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছি। যেখানে তাদের নাম ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), যোগাযোগের বিস্তারিত, সব কিছু দিয়েছি। যে তদন্ত হচ্ছে, সে বিষয়ে সহযোগিতা করার জন্য। যদি কারও নাম আসে, তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। স্কুলের বিরুদ্ধে নয়। এর আগে রিটের প্রেক্ষিতে ১৪ নভেম্বর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই স্কুলের ধানমণ্ডি ও গুলশানের শাখা খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।