দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের রিয়েক্টর ভবনের প্রথম কংক্রিট ঢালাইয়ের মাধ্যমে মূল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় তিনি এ কাজের উদ্বোধন করেন।
পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে ১ হাজার ৬০ একর জমির ওপর এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মিত হচ্ছে। এর আগে সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে হেলিকপ্টারে করে রূপপুরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব পরমাণু ক্লাবে (নিউক্লিয়ার নেশন) যুক্ত হবে। বাংলাদেশ হবে এ ক্লাবের ৩২তম দেশ। বর্তমানে বিশ্বের ৩১টি দেশে ৪৫০টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিট চালু রয়েছে।
রাশিয়ার সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, আর্থিক সহায়তা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মিত হতে যাচ্ছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় আণবিক শক্তি করপোরেশন রোসাটমের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এএসই গ্রুপ অব কম্পানিজ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটির মোট ব্যয়ের ৯০ শতাংশ অর্থ ঋণে সরবরাহ করছে রাশিয়া। রাশিয়ার উদ্ভাবিত সর্বাধুনিক ৩+ প্রজন্মের (থ্রি প্লাস জেনারেশন) ভিভিইআর ১২০০ প্রযুক্তির পারমাণবিক চুল্লি ব্যবহার করা হবে।
প্রতিটি ১২০০ মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষমতার দুটি ইউনিট স্থাপিত হবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে। দুটি ইউনিট মিলিয়ে মোট ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।
আগামী ২০২৩ সালে প্রথম ইউনিট ও পরের বছর ২০২৪ সালে দ্বিতীয় ইউনিট চালু হওয়ার কথা রয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রে টানা ৬০ বছর বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। বর্তমানে ২২০০ জন কর্মী কাজ করছেন বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে, যাদের মধ্যে রাশিয়ার বিশেষজ্ঞ রয়েছেন ৪৫০ জন। মূল কাজে যুক্ত হবেন ১২ হাজার ৫০০ জন, যাদের মধ্যে রাশিয়ার থাকবেন ২৫০০ জন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ ফ ম রুহুল হক, রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ প্রমুখ।