বলিউডের সঙ্গে ড্রাগের সম্পর্ক নতুন নয়। এই বিষয় নিয়ে বহু সিনেমা তো বানানো হয়েছেই‚ এছাড়াও রিয়েল লাইফে এমন বেশ কিছু সেলিব্রিটি আছেন‚ যাদের ড্রাগ অ্যাডিকশন আছে।
যদিও বেশিরভাগ তারকারাই তাদের এই আসক্তির কথা স্বীকার করেন না‚ কিন্তু অনেকেই আবার তা খোলাখুলি ভাবে মেনে নিয়েছেন।
জেনে নিন, সেই সব সেলিব্রিটিদের নাম যারা মাদক সেবনে অভিযুক্ত হয়েছেন।
রণবীর কাপুর : একটা ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রণবীর নিজের মুখে স্বীকার করেন যে উনি অ্যাক্টিং স্কুলে পড়ার সময় নিয়মিত মাদক সেবন করতেন। এমনকী ‘ রকস্টার ‘ছবিতে পারফেকশন আনার জন্যেও উনি গাঁজা সেবন করেছেন।
সঞ্জয় দত্ত : ১৯৮২ সালে সঞ্জয়কেও পুলিশ মাদক সেবন করার অভিযোগে গ্রেফতার করে । পাঁচ মাস কারাদণ্ডও হয় ওঁর। পরে ওঁর বাবা সুনীল দত্তের হস্তক্ষেপে আমেরিকার একটা রিহ্যাবে ট্রিটমেন্ট করা হয় ওঁকে।
ফারদিন খান : ২০০১ এর ৫ মে ফারদিন খবরের শিরোনামে উঠে আসেন যখন মাদক রাখার অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন উনি। মুম্বাইয়ের জুহু এলাকা থেকে ওঁকে কোকেন রাখার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ।
গৌরী খান : কয়েকবছর আগে কিং খানের স্ত্রীকে মাদক রাখার অভিযোগে বার্লিন বিমানবন্দরে আটক করা হয়। যদিও পুরোটাই মিথ্যে ঘটনা বলে উড়িয়ে দেন উনি।
সুজান খান : হৃতিকের প্রাক্তন স্ত্রী নাকি নিয়মিত মাদক নেন। বি-টাউনের অনেকেই সুজানের মাদকাসক্তিকেই ওঁর বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য দায়ী করে।
বিজয় রাজ : বলিউডের এই অভিনেতাও একজন ড্রাগ অ্যাডিক্ট। ২০০৫ সালে ওঁকে দুবাই এয়ারপোর্টে আটক করে রাখা হয় সঙ্গে মাদক রাখার অভিযোগে।
অপূর্ব অগ্নিহোত্রী : ২০১৩ সালে মুম্বাইয়ের অদূরে একটা হোটেলের একটা রেভ পার্টি থেকে গ্রেফতার হন উনি। ওঁর বিরুদ্ধে মাদক নেওয়ার অভিযোগ ছিল।
মমতা কুলকার্নি : স্বামী ভিকি গোস্বামীর সঙ্গে মাদক পাচার চক্রে যুক্ত আছেন উনি। সম্প্রতি এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে পুলিশের তদন্ত থেকে।
রাহুল মহাজন : ২০০৬ সালের জুন মাসে‚ ওঁর বাবা প্রমোদ মহাজনের মৃত্যুর এক মাসের মাথায় অতিরিক্ত মাদক সেবনের জন্য রাহুলকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় । হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলে পুলিশ ওঁকে গ্রেফতার করে।
প্রসাদ বিড়াপা : ২০০৫ সালে এই ফ্যাশন গুরুকে দুবাইতে ৩৩ দিনের জন্য আটক করে রাখা হয়। ওঁর কাছে ১.৫ গ্রাম মাদক পাওয়া গিয়েছি