গাজীপুর আদালত প্রাঙ্গনে জঙ্গী হামলার দ্বাদশ বর্ষিকী পালিত

Slider গ্রাম বাংলা

gazipur coart

 

 

 

গাজীপুর ব্যুরো: ২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর গাজীপুর আদালত প্রাঙ্গনে জঙ্গী হামলার দ্বাদশ বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
বুধবার সকাল থেকে দিনব্যাপী এ উপলক্ষ্যে গাজীপুর আইনজীবী সমিতি নানা কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল শোক র‌্যালী, আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল

আজ সকালে গাজীপুর আদালত প্রাঙ্গন থেকে আইনজীবীদের একটি শোক র‌্যালী শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষীন করে। এরপর অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।

গাজীপুর আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন গাজীপুর-২ আসনের সাংসদ ও যুব ক্রীড়া মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি জাহিদ আহসান রাসেল।

গাজীপুর আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. সুদীপ কুমার চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এড. মনজুর মোর্শেদ প্রিন্সের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন গাজীপুরের সিনিয়র জেলা জজ এ কে এম এনামুল হক, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, গাজীপুরের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ আসসামছ জসলুল হোসেন প্রমূখ।

এর আগে নিহতদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্বে জেলা আইনজীবী সমিতি, জেলা জজশিপ, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, নারী আইনজীবী, সহকারী আইনজীবী সমিতিসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সুদীপ চক্রবর্তী জানান, ২০০৫ সালে জেএমবির আত্মঘাতি নৃশংস হামলায় চারজন আইনজীবী এবং ছয়জন বিচারপ্রার্থী সাধারণ মানুষ মারা যান। সেই দিনটিকে স্মরণ করে আইনজীবী সমিতি নানা কর্মসূচি পালন করে। এসময় হতাহতদের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে দেয়া আদালতের রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনের ২ নম্বর হলরুমে বোমা হামলা চালায় জেএমবির সদস্যরা। এই হামলায় মারা যান গাজীপুর বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, আইনজীবী নুরুল হুদা, আনোয়ারুল আজম ও গোলাম ফারুক সহ আটজন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করে জেএমবির সদস্য আসাদ ওরফে জিয়া।

ঘটনার দিনই বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় মামলা করে পুলিশ। মামলার এজাহারে জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়খ আব্দুর রহমান, আতাউর রহমান সানীসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়। ২০০৭ সালের ৪ জুলাই ১০ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। পরে ২০১৩ সালে এ হামলায় জড়িত থাকার দায়ে জামায়াতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)’র ১০ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ফাঁসির রায় দেন।

গত বছরের ২৮ জুলাই বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ ছয়জনের মুত্যুদন্ড বহাল রেখে দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং দুইজনকে বেকসুর খালাস দেন।

মৃত্যুদন্ড বহাল থাকা ছয় জঙ্গি হলেন- এনায়েতুল্লাহ ওরফে ওয়ালিদ ওরফে জুয়েল, আরিফুর রহমান আরিফ ওরফে আকাশ ওরফে হাসিব, সাইদুর রহমান মুনসি ওরফে সাইদুর মুনসি ওরফে ইমন ওরফে পলাশ, আবদুল্লাহ আল সোহেল ওরফে জাহিদ ওরফে আকাশ, নিজামুদ্দিন নিজাম এবং মো. তৈয়বুর রহমান।

মৃত্যুদন্ডাদেশ কমিয়ে যাবজ্জীবন প্রাপ্তরা হলেন- মসিদুল ইসলাম মাসুদ ওরফে ভুট্টো ও আদনান সামী ওরফে আম্মার ওরফে জাহাঙ্গীর।

আর মো. আশরাফুল ইসলাম ওরফে আরসাদ ওরফে আব্বাস খান ও মো. সফিউল্লাহ ওরফে তারেক ওরফে আবুল কালামকে মামলা থেকে খালাস দেয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *