শচীন টেন্ডুলকারের গড়ে ওঠার পেছনে বড় ভাই অজিত টেন্ডুলকারের অসামান্য অবদান। সৌরভ গাঙ্গুলীরও আছে অজিতের মতোই এক দাদা—স্নেহাশিস গাঙ্গুলী। সৌরভের আজকের এ অবস্থানে আসার পেছনে যাঁর ভূমিকা বা ঋণ অশেষ। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সেই স্নেহাশিস বেশ অসুস্থ। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তাঁর রক্তের লোহিত কণিকার হিসাব নেমে এসেছে ২০ হাজারে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, স্নেহাশিসের অবস্থা চিন্তিত হওয়ার মতোই।
স্নেহাশিস নিজেও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার ছিলেন। রঞ্জি ট্রফিতে বাংলা দলকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ৫৯টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে ৩৯.৫৯ গড়ে ২ হাজার ৫৩৪ রান। ভারতীয় ক্রিকেট দলে খেলা হয়নি। পরে ছোট ভাই সৌরভের উত্থানের মধ্য দিয়ে নিজের ক্যারিয়ারের অপূর্ণতা ঘোচান।
কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি স্নেহাশিসের সর্বশেষ অবস্থা অপরিবর্তিত বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। বুধবার ডাক্তারি পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ার পর হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী। ১৯৯৮ সালে খেলা ছেড়ে দেওয়ার পরপর পারিবারিক ব্যবসায় মনোযোগ দেন।
কলকাতা শহরে সাম্প্রতিক সময়ে ডেঙ্গু নগরবাসীর চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছুদিন আগে সৌরভ-স্নেহাশিসদের বেহালার বাড়িকে ‘ডেঙ্গু-ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে কলকাতা পৌরসভা।