এম এ কাহার বকুল: লালমনিরহাট প্রতিনিধি;
লালমনিরহাট জেলা সদরে সাধারণ জনগনের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও অপরাধ দমনে লালমনিরহাট পুলিশ বিভাগের নতুন ৩টি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। শহরে সিসি ক্যামেরা, অভিযোগ বাক্স ও রাতে মোটরসাইকেল আরোহীদের তথ্য সংগ্রহ অভিযান বেশ সাড়া জাগিয়েছে।
মাদক বিরোধী অভিযানে পুলিশ মন জয় করেছেন সর্বস্তরের মানুষের। লালমনিরহাট জেলায় মাদক ব্যবসায়ী শূন্য স্থানে বললেই চলে। মাদক বন্ধ করায় লালমনিরহাট জেলা পুলিশ ও পুলিশ সুপার সুনামে পরিণিত হয়েছে।
তথ্য সূত্রে যানা যায়, ২০১৬ সালের ১৯জুলাই লালমিনরহাটে পুলিশ সুপার হিসেবে এস এম রশিদুল হক যোগদান করেন। এরপর সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে তিনি বলেন এই জেলা সিমান্তবর্তী এলাকা। এখানে অনেক মাদক ব্যবসায়ী। এখান থেকে মাদক বেশি চলাচল হয়। আমি থাকাতে লালমনিরহাটে কোনো মাদক ব্যবসায়ী থাকবে না যারা মাদকের সাথে সম্পর্কিত তাদের বিরুদ্ধে আইনের ব্যবস্থা করা হবে। তিনি আরো বলেন, এ জেলায় হয় মাদক ব্যবসায়ী থাকবে, না হয় আমি (পুলিশ)।
বর্তমানে বিগত দিন গুলির চেয়ে লালমনিরহাট জেলার সার্বিক আইনশৃংখলা পরিস্থিতি অনেক গুনেই উন্নতির দিকে। জনগণের সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ও অপরাধ দমনে জন্য লালমনিরহাট পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় জেলা পুলিশ বিভাগ নতুন নতুন ৩টি পদক্ষেপ গ্রহন করেন।
যা সম্পতি ২২নভেম্বর রাত ৮টার দিকে জেলার শহরের ড্রাইভারপাড়া মাঠে এক মাদক বিরোধী সমাবেশ থেকে শহরের স্বর্ণপট্রি ও গোশালা বাজার এলাকায় স্থাপিত সিসি ক্যামেরা উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক। এর আগে চলতি নভেম্বর মাসে জেলা শহরের প্রধান ফটক মিশন মোড় এলাকায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। পযায়ক্রমে পুরো শহর সিসি ক্যামেরার আওতায় চলে আসবে।
এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের অপরাধের তথ্য সংগ্রহে পৌর শহর জুড়ে ৯টি ওয়াডে অভিযোগ বাক্স স্থাপন করা হয়েছে।
এছারা জেলার প্রতিটি থানায় থানায় অভিযো বক্স বসানো হচ্ছে।
এছারা রাত ১০ টার পর থেকে গভীর রাতে মোটরসাইকেল আরোহীদের নাম, গাড়ীর নাম, রেজিঃ নং, ঠিকানা, মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
এসব করলে আমাদের জেলায় সব ধরনের অপরাধ কমাতে পারবো।একজন অপরাধী অপরাধ করতে গেলে ধরা খেতে হবে সেজন্য সে আর অপরাধ মূলক কাজ করতে পারবে না। সেক্ষেত্রে জেলার আইনশৃংখলা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে।
বিভিন্ন এলাকার জনগণদের সাথে কথা বলে যানা যায়, আমাদের সাধারণ জনগণের জন্য ভালো হয়েছে। আমরা অনেক নিরাপত্তা পাবো। আমাদের চলাফেরায় সমস্যা হবে না। আর অভিযোগ বক্স করে আরো অনেক ভালো হয়েছে। বক্স স্থাপনের পর এখন তা পুলিশকে সরাসরি দিতে পারছে।
আমরা থানায় না গিয়ে আমরা এখানে অভিযোগ করতে পারবো।লালমনিরহাট পুলিশ ব্যাতিক্রম পদক্ষেপ করার জন্য আমাদের সবার জন্য ভালো হয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা পুলিশ প্রসাশনের এ ধরনের ব্যতিক্রম পদক্ষেপ বেশ সাড়া জাগিয়ে মন জয় করেছেন সর্বস্তরের মানুষের।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক জানান, আমি প্রথমে এসেই বলেছি এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী শূন্য করবো। এ জেলায় মাদক ব্যবসায়ী থাকবে না। মাদকমুক্ত একটি সুন্দর ও সুশৃঙ্খল সমাজ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি ও মাদক বন্ধ করতে পেরেছি।
মাদক বন্ধ করতে পেরে লালমনিরহাট পুলিশ সুনামে পরিণিত হয়েছে। এবার সিসি ক্যামেরা, অভিযোগ বক্স ও রাতে মোটরসাইকেল আরোহীদের নাম ঠিকানা এসবে বিভিন্ন অপরাধ মূলক কাজ বন্ধ করতে এসব ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।লালমনিরহাট জেলা পুলিশ এবার ব্যতিক্রম পদক্ষেপে বেশ সাড়া জাগিয়ে মন জয় করবে সর্বস্তরের মানুষের।