দেশে দুর্নীতির অর্ধেকের পেছনেই রাজনীতিকরা মন্তব্য করে দুর্নীতির জন্য রাজনৈতিক নেতাদের দায়ী করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শনিবার সকালে রাজধানীতে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের ওপর এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, সততা ও সাহসিকতার বিরল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন বঙ্গবন্ধু।
আমরা যারা রাজনীতি করি এখান থেকে অনেক শিক্ষা নিতে পারি।
তিনি বলেন, যারা রাজনীতি করি তাদের মধ্যে কয়জন বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে আমি সৎ, আমি শতভাগ সৎ মানুষ, কয়জন বলতে পারবে? এখানেই সমস্যা। আমরা রাজনীতিকরা যদি দুর্নীতিমুক্ত থাকি, তবে দেশের দুর্নীতি অটোমেটিক্যালি অর্ধেক কমে যাবে।
আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির আয়োজনে তোপখানা রোডে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে এ আলোচনায় বঙ্গবন্ধুকে ‘সততার আদর্শ হিসেবে’ অভিহিত করেন কাদের।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শিখিয়েছেন সততার আদর্শ, সততার আদর্শ বড় এসেট। একজন রাজনীতিকের জীবনের মানুষের ভালোবাসার চেয়ে বড় আর কিছু নেই, আর মানুষের ভালোবাসা পেতে হলে সৎ হতে হবে, মানুষকে ভালোবাসতে হবে, মানুষের কাছে থাকতে হবে, মাটির কাছে থাকতে হবে, এই শিক্ষা বঙ্গবন্ধু রাজনীতিকদের দিয়ে গেছেন।
নিজ দলের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির অনুষ্ঠানে মন্ত্রীদের না আনার পরামর্শ দেন ওবায়দুল কাদের।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রী না আসলে ক্যামেরা আসে না, এই থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। এর পরে আমরা ইন্ট্রোডিউস করি, দেখি কয়টা ক্যামেরা আসে।
না আসলে কী হবে? সব না আসুক, কেউ না কেউ তো আসবে; তাতে কী হবে, আস্তে আস্তে হবে। মন্ত্রী ছাড়া অনুষ্ঠান কেন হবে না। এতগুলো বিজ্ঞ মানুষ, এত ভালো কথা বলে এরপরও মন্ত্রী বারবার কেন?
বেশি বেশি বক্তব্য দিতে গিয়ে একই কথার পুনরাবৃত্তিতে মানুষের কাছে ‘ফালতু’ হিসেবে পরিচিতি গড়ে উঠতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
কাদের বলেন, আমি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক- সারাদিন বক্তব্য দিতে দিতে… একই রকম বক্তব্য; বক্তব্য দিতে ইনপুট তো লাগে, নতুন ইনপুট না হলে আমাকে বারবার পুরনো কথা বলতে হয়, এতে তো আমি ফালতু হয়ে যাব। বারবার যে বেশি কথা বলে, সে বেশি বাজে কথা বলে, বারবার এক কথা বলে। আমি মনে করি আমাদের এই ধারাটা বদলাতে হবে। বঙ্গবন্ধুর কাছে ফিরতে চাইলে মূল্যবোধের কাছে ফিরতে হবে।
সভায় অন্যদের মধ্যে সাংবাদিক গোলাম সারওয়ার, বাংলাদেশে ইউনেস্কোর কান্ট্রি ডিরেক্টর বিয়েত্রিস কালদান, আবৃত্তিকার হাসান আরিফ এবং আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন বক্তব্য দেন।