এস. এম. মনিরুজ্জামান মিলন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় দুই যুবককে অপহরণ করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নুর ইসলাম বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামী করে ঠাকুরগাঁও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার আসামীরা হলেন: রুবেল (৩৭), মাহাবুবুর রশিদ (৩৭), আলমগীর কবীর জুয়েল (৩৭), মাহফুজুল সবুজ (৩৫), বাদশা ইমন (৩০), মোঃ জামাল (৩০), ও মো: মোকারম (৩২)।
মামলাটি আমলে নিয়ে ঠাকুরগাঁও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. জুলকার নাঈম পীরগঞ্জ থানার ওসিকে মামলাটি এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী নুর ইসলাম ঢাকার গাজীপুর এলাকার একজন ব্যবসায়ী। সেক্ষেত্রে ঢাকার বাসিন্দা আবুল হোসেন সুমনের সাথে ব্যবসায়ী নুর ইসলামের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আবুল হোসেন সুমন তাঁর বন্ধু ব্যবসায়ী নুর ইসলামের বাড়ী পীরগঞ্জের বন্দিয়ারা গ্রামে ঘুরতে আসেন। পরদিন ব্যবসায়ী নুর ইসলাম তাঁর বন্ধু আবুল হোসেন সুমনকে গিয়ে পীরগঞ্জ রেলস্টেশন এলাকায় ঘুরতে যায়। এসময় কয়েকজন যুবক ধারালো অস্ত্রের মুখে তাদেরকে জিম্মি করে এবং মোটরসাইকেলে তুলে পীরগঞ্জ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের বলেয়হাট এলাকায় অপহরন করে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে ব্যবসায়ী নুর ইসলাম ও তাঁর বন্ধু আবুল হোসেন সুমনের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে সন্ত্রাসীরা। এসময় টাকা দিতে অস্বীকার করলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকে বেধরক মারপিট করে। পরে জীবন বাঁচাতে ব্যবসায়ী নুর ইসলাম তাঁর আত্মীয় স্বজনের দ্বারা বিকাশের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা সন্ত্রাসীদের দেয়। এরপর সন্ত্রাসীরা ব্যবসায়ী নুর ইসলাম ও তাঁর বন্ধু আবুল হোসেন সুমনকে ফেলে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয় লোকজন ব্যবসয়ী নুর ইসলাম, বন্ধু সুমনকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ থানার ওসি মো. আমিরুজ্জামান বলেন, আদালতের মাধ্যমে মামলাটি হাতে পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।