ব্র্যান্ডন ম্যাককালাম আউট হতেই চমকে উঠল পুরো স্টেডিয়াম। ব্যাট হাতে নেমে পড়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা! উইকেটে যতক্ষণ ছিলেন, পুরোটা সময়ই বিস্মিত করে গেছেন রংপুর অধিনায়ক। মাশরাফি-ঝড়ের পর তুলির শেষ আঁচড় অবশ্য টেনেছেন থিসারা পেরেরা। শেষ বলের ছক্কায় রংপুর রাইডার্সকে স্বস্তির এক জয় এনে দিয়েছেন পেরেরা।
চিটাগং ভাইকিংসের ১৭৬ রান তাড়া করতে নেমে ৩ উইকেটের জয় পেয়েছে রংপুর। তবে ম্যাচটাকে শেষ বলে নেওয়ার দায়ও রংপুরের। ১৮ বলে ২৬ রানের সহজ সমীকরণকে জটিল করে ২ ওভারে ১৯ করা হলো প্রথমে। ১৯তম ওভারে মোহাম্মদ মিথুনকে হারিয়ে মাত্র ৫ রান তুলল রংপুর। শেষ ওভারে ১৪ রান দরকার ছিল দলটির। দ্বিতীয় বলে ছক্কা মেরে সেটাকে ৪ বলে ৬ রানে আনলেন পেরেরা। তৃতীয় ও চতুর্থ বলে দুই উইকেট পড়ল। রান এল না একটাও!
পঞ্চম বলে দুই রানের পর ওয়াইড দিলেন তাসকিন। এক বলে তিন রানের ঝামেলা ছক্কাতেই মেটালেন পেরেরা।
অথচ মাশরাফি যখন উইকেটে ছিলেন, ম্যাচটা কত আগে শেষ হবে সে আলোচনা হচ্ছিল। ষষ্ঠ ওভারে দলের ৩১ রানে নেমেছিলেন। দশম ওভারে ৯১ রানে ফিরেছেন। মাঝে দলের ৬০ রানের ৪২-ই মাশরাফির, সেটাও ১৭ বলে। এতেও যদি বিস্ময় না জাগে, তবে শুনে নিন, উল্টো প্রান্তে ছিলেন ক্রিস গেইল। ৩ ছক্কা ও ৪ চারে ছিল মাশরাফির ইনিংসে।
মাশরাফির পাশে বড্ড সাদামাটা মনে হওয়া গেইল আউট হলেন পরের ওভারেই। ২৫ বলে ৩৩ রান করেছেন গেইল। তাঁরও ছক্কা ৩টি, তবে চার মাত্র ১টি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জেতালেন ৩ ছক্কা মারা অন্য ব্যাটসম্যান পেরেরা। ১৪ বলে ২৮ করা পেরেরা নামার আগে ম্যাচটা রংপুরের হাত থেকে প্রায় ছিটকেই গিয়েছিল।
আগের ম্যাচগুলোর মতোই রবি বোপারা প্রশ্নবিদ্ধ ব্যাটিং করলেন আজ। দলের জয়ের জন্য যখন প্রতি ওভারে ৮/৯ রান প্রয়োজন, তখন ১৩ বলে ১১ রান করে দলের বোঝা উল্টো বাড়িয়ে দিয়েছেন। ২৯ বলে ৪৪ রান করা মিথুনই দলের জয়ের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। আর শেষটা টেনেছেন পেরেরা।
তবে এসব কিছুই কোনো কাজে আসত না, যদি মাশরাফি-ঝড়টা আজ না উঠত।