তাহমিনার বাড়ি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার জয়দা গ্রামে। তাঁর বাবার নাম আবদুস সালাম। তিনি মাতৃত্বকালীন ছুটিতে ছিলেন।
তাহমিনার স্বামী মোবারক হোসেন বলেন, তাঁদের পাঁচ মাসের মেয়ে কয়েক দিন ধরেই অসুস্থ। তাহমিনাও কয়েক দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। এর মধ্যে মাতৃত্বকালীন ছুটি প্রায় শেষ হয়ে আসছিল। কর্মস্থলে যোগদানের পর বাচ্চাকে কে দেখবে, এ নিয়ে তিনি চিন্তিত ছিলেন। মানসিক অশান্তি থেকে তাহমিনা আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে তিনি ধারণা করছেন।
মোবারক হোসেন বলেন, রাত পৌনে আটটার দিকে তাহমিনা শোবার ঘরে শুয়ে ছিলেন। বাচ্চাটাও তাঁর কাছে শুয়ে ছিল। মোবারক মশারি টানিয়ে দেন। কিছু সময় পর তিনি ওই কক্ষে গিয়ে দেখেন, তাহমিনা জেগে রয়েছেন। পরে মোবারক তাঁদের ছয় বছরের শিশুকে ভাত খাওয়াতে যান। এরপর শোবার ঘরে ঢুকতে গিয়ে দেখেন, দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। সাড়াশব্দ না পেয়ে তিনি প্রতিবেশী ও পুলিশকে বিষয়টি জানান। পরে পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখেন, তাহমিনার লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিনুল কাদের বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটা আত্মহত্যা। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন, তা এই মুহূর্তে নিশ্চিত নয়।