আনন্দ শোভাযাত্রায় প্রথম সারিতে ছিলেন আঞ্জুমান আরা। তিনি লালমনিরহাট জেলা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি। শোভাযাত্রায় তাঁর অংশ নেওয়ার বিষয়টি বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
শনিবার বেলা ১১টায় লালমনিরহাট সরকারি উচ্চবিদ্যালয় ফুটবল খেলার মাঠ থেকে শোভাযাত্রা বের হয়। সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তর, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেন। জেলা পরিষদ মিলনায়তন চত্বরে গিয়ে শোভাযাত্রা শেষ হয়।
শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়ার বিষয়ে আঞ্জুমান আরা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। আমি তাঁর বড় সন্তান হিসেবে এবং লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে এই আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছি। এ জন্য বাবা আমাকে ধন্যবাদও দিয়েছেন।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর তাঁর রাজনৈতিক দলের অনেকেই এ জন্য অনেক কথা বলছেন।
লালমনিরহাট জেলা মহিলা লীগের সভাপতি ও জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ সফুরা বেগম বলেন, ‘আমি এ আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বলছি, একজন মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে হিসেবে আঞ্জুমান আরা শাপলা এ শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে তাঁর পিতার উত্তরাধিকারের প্রতি সম্মান জানিয়েছেন।’ তিনি আরও বলেন, দলমত-নির্বিশেষে স্বাধীনতাপ্রিয় সবার জন্যই বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণ অনুপ্রেরণার অন্যতম উদাহরণ। এ আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়ার কারণে আঞ্জুমান আরাকে যদি তাঁর দলের লোকজন নেতিবাচক কিছু বলেন, তবে সেটা হবে তাঁদের রাজনৈতিক সংকীর্ণতা।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বলেন, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে হয়তো আঞ্জুমান আরা এ কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন।
ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক রেজাউল আলম সরকার বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম দলমত-নির্বিশেষে সব শ্রেণিপেশার মানুষ এ আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করুক, সে বিবেচনায় আমরা সার্থক হয়েছি বলতে পারি।’