চট্টগ্রামে তরুণ আইনজীবী খুন

Slider বাংলার আদালত

6092d61027f9f404b2b20fb95fee0fa5-5a195a58d50a4

 

 

 

 

চট্টগ্রাম নগরের কে বি আমান আলী সড়কের একটি বাসা থেকে এক তরুণ আইনজীবীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নগরের বাকলিয়া থানার এলাকাটি থেকে আজ শনিবার সকালে লাশ উদ্ধার হয়।

পুলিশ ধারণা করছে, শ্বাস রোধ করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। নারীঘটিত কারণে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে বলেও তাদের ধারণা।
পারিবারিক সূত্র জানায়, নিহত আইনজীবীর নাম ওমর ফারুক ওরফে বাপ্পী (৩৩)। তিনি ২০১৩ সালে চট্টগ্রাম বারের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। তাঁর গ্রামের বাড়ি বান্দরবান জেলার আলীকদম উপজেলার চৌমুহনী এলাকায়। তাঁর বাবা আলী আহমেদ। মায়ের নাম মনোয়ারা বেগম। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন ফারুক।
আজ উদ্ধারের সময় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ওমর ফারুকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁর মুখে টেপ লাগানো ছিল। আর শরীরের স্পর্শকাতর অংশ কেটে দেওয়া হয়।

চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল হুদা বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে আটটা থেকে শনিবার ভোরের মধ্যে কোনো এক সময় ওমর ফারুক খুন হতে পারেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, ওমর ফারুকের খুনের ঘটনায় তাঁর সাবেক স্ত্রী রাশেদা বেগমের হাত আছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাশেদা বেগম এক ইয়াবা পাচারকারীর স্ত্রী ছিলেন। স্বামীর মামলার সূত্র ধরে ওমর ফারুকের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। একপর্যায়ে তাঁরা গোপনে বিয়ে করেন।
 a916703e5f878190a75de3f030bee39d-5a195a590c89f

 

 

 

 

 

 

পুলিশ সূত্র জানায়, রাশেদার সঙ্গে ওমর ফারুকের বিয়ের দিনক্ষণ সম্পর্কে পুলিশ বা ফারুকের সহকর্মীরা কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেনি। ফারুক অবিবাহিত বলে জেনে আসছে তাঁর পরিবারের সদস্যরা। রাশেদার সঙ্গে তাঁর আবার বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গেলে দুজনই পাল্টাপাল্টি মামলা করেন। একটি মামলায় ফারুকের সাবেক স্ত্রী রাশেদা ১৭ দিন জেল খাটেন। রাশেদার করা আরেকটি মামলায় ওমর ফারুক গ্রেপ্তার হয়ে এক দিন হাজতবাস খাটেন। চলতি বছরের শুরুর দিকে পাল্টাপাল্টি মামলায় উভয়জন গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
ওমর ফারুকের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও শিক্ষানবিস আইনজীবী আশুতোষ নাথ বলেন, ইয়াবা মামলার আসামির স্ত্রী রাশেদা নিহত ওমর ফারুকের মক্কেল ছিলেন। সেই সূত্রে উভয়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হয়।
খুনের ঘটনা শুনে ওমর ফারুকের চাচা আবুল কালাম আজ দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেলের মর্গে এসে পৌঁছান। তিনি বলেন, ‘বাপ্পী (ওমর ফারুক) অবিবাহিত বলে আমরা জানতাম। এখন শুনেছি সে এক আসামির বউকে বিয়ে করেছিল। এই বিয়ে কবে হয়েছিল আমরা জানি না। তবে বউকে তিন লাখ টাকা দিয়ে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটিয়েছে আমরা এখন জানতে পেরেছি।’
ওমর ফারুকের খুনের ঘটনায় চট্টগ্রামের সর্বস্তরের আইনজীবী আজ দুপুর থেকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ভিড় করেন। হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদ্‌ঘাটন করে আসামির শাস্তি দাবি করেন আইনজীবীরা।
চট্টগ্রাম দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আইয়ুব খান বলেন, ‘ওমর ফারুকের খুনিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। আর দ্রুততার সঙ্গে মামলা তদন্ত শেষ করে অভিযোগপত্র দিতে পুলিশের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *