আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে বন্ধ হয়ে গেল অর্থনীতি প্রতিদিন। বেকার হয়ে গেলেন শতাধিক সাংবাদিক। আজ রবিবার সকালে দৈনিকটি বন্ধের ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। গত ২৬ নভেম্বর পরিচালনা পর্ষদের সভায় পত্রিকাটি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
প্রায় ছয় ঘণ্টা স্থায়ী পর্ষদের সবার শুরুতে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল যে, দৈনিকটিতে একজন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও হেড অব মার্কেটিং নিয়োগ দেয়া হবে। ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে বিশিষ্ট সাংবাদিক রাশিদুন্নবী বাবুর নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্তও হয়। তবে পর্ষদের সভার শেষ দিকে পরিচালকরা এ সিদ্ধান্ত পাল্টে ফেলেন। তারা সিদ্ধান্ত নেন, পত্রিকাটি আপাতত বন্ধ থাকবে।
বন্ধের ঘোষণা দিয়ে টানানো নোটিশে বলা হয়েছে, আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে পত্রিকাটির প্রকাশনা অব্যাহত রাখা সম্ভব হচ্ছে না।
নোটিশে আরো বলা হয়, আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়মানুযায়ী সাংবাদিক-কর্মচারীদের যাবতীয় পাওনা বুঝিয়ে দেয়া হবে।
গত ২৬ নভেম্বরের পর অর্থনীতি প্রতিদিনের সাংবাদিকরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন। সবশেষ শনিবার পত্রিকাটির প্রকাশক ও সম্পাদক আব্দুল হকের সঙ্গে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের দুই গ্রুপের নেতারা বৈঠক করেন। তাদের পক্ষ থেকে পত্রিকাটি চালু রাখার অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু সম্পাদক অপারগতা প্রকাশ করেন।
প্রসঙ্গত, অর্থনীতি প্রতিদিন ২০১২ সালে ২ ডিসেম্বর বাজারে আসে। শুরু থেকেই নানা সংকটে চলছিল এর প্রকাশনা। গত কয়েক মাস আগে হঠাৎ করে পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধ করে দিলেও পরে কর্মীদের চাপে পুনরায় চালু হয়। তবে সে সময় অনেককে ছাঁটাই করা হয়।