৩৭ বছর ধরে জিম্বাবুয়ে শাসন করার পর মুগাবে অধ্যায়ের শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে মুগাবের পদত্যাগের পর শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন আফ্রিকার অন্যান্য স্বৈরশাসকরাও।
সাব-সাহারান আফ্রিকার আরও কমপক্ষে তিনটি দেশের সরকার প্রধান এখন একই প্রশ্নের মুখে রয়েছেন। তারা হলেন রুয়ান্ডার পল কাগামে, বুরুন্ডির পিয়েরে নকুরুনজিজা ও ডিআর কঙ্গোর জোসেফ কাবিলা।
মুগাবের মতো একই পরিণতি বরণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আফ্রিকার স্বৈরশাসকরা। মুগাবের এই পরিণতিতে সবচেয়ে বেশি অস্বস্তিকর অবস্থায় আছেন আফ্রিকার দেশ উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইয়োয়েরি মুসেভেনি। মুগাবের মতো তিনিও গেরিলা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। ১৯৮৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ক্ষমতায় আছেন তিনি।
মুসেভেনির বয়স এখন ৭৩ বছর। রবার্ট মুগাবের চেয়ে তিনি ২০ বছরের ছোট। কিন্তু এখনকার যুগ হচ্ছে ফেসবুক যুগ।
এ সময়ে তরুণ প্রজন্মের কাছে তার স্বাধীনতা যুগের দৃষ্টিভঙ্গি আবেদন জাগাতে পারে না। সম্প্রতি তিনি ক্ষমতা গ্রহণের ৩১ বছর পূর্তি উদযাপন করেছেন। এ উপলক্ষে তিনি বক্তব্য রেখেছেন। তাতে আধুনিক গণতন্ত্রে যে জবাবদিহিতার বিষয় থাকে তার লেশমাত্র ছিল না।
ওদিকে কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেয়াদ ২০১৬ সালে শেষ হয়ে যায় জোসেফ কাবিলার। তা সত্ত্বেও তিনিও মুগাবের মতো ক্ষমতা ধরে আছেন।
রুয়ান্ডায় কাগামে ১৯৯৪ সাল থেকে ক্ষমতা আঁকড়ে রয়েছেন। আগস্টে সেখানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়েছে। তাতে তিনি আরও সাত বছরের অনুমোদন পেয়েছেন। ওই ভোটে শতকরা ৯৮.৭৯ ভাগ ভোট পড়েছে বলে বলা হয়। তবে সংবিধান সংশোধন করে তিনি তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার ব্যবস্থা পাকা করেছেন।
সূত্র : গার্ডিয়ান