সিপ্রাসে আপোয়েলের বিপক্ষে জোড়া গোল করে চ্যাম্পিয়নস লিগের মঞ্চে দলকে জেতালেন একেবারে হাফ ডজন গোলের ব্যবধানে। লা লিগায় তলানিতে চলে যাওয়া রিয়াল মাদ্রিদের জন্য এটা নিশ্চয়ই সুখবর।
তার চেয়েও বড় সুখবর হলো রোনালদোর পায়ের ঠিকানা খুঁজে পাওয়া। কিন্তু এমন দিনেও সিআরসেভেনের মেজাজ খারাপ! সব ক্ষোভ উগরে দিলেন মিডিয়ার ওপর। কারণ তিনি বলেন এক, আর সংবাদমাধ্যম নাকি লেখে তার উল্টোটা!
দীর্ঘ গোলখরার কারণে এমনিতেই স্প্যানিশ মিডিয়ার তোপের মুখে আছেন পর্তুগিজ সুপারস্টার। তাকে ঘিরে চলছে নানা সমালোচনা। এর মধ্যেই কয়েকদিন আগে রোনালদো বলেছিলেন, ‘গতবারের চেয়ে এবার রিয়াল মাদ্রিদ দলে অভিজ্ঞতা কম। ‘ আর সেটাকে স্প্যানিশ মিডিয়া ব্যাখ্যা করেছিল, সতীর্থদের সমালোচনা করেছেন সিআরসেভেন। মিডিয়ার এই উল্টো মনোভাব নিয়ে নিয়েই ক্ষিপ্ত তিনি।
রোনালদো বলেন, ‘আমি একরকম বলি আর আপনারা আর একরকম লেখেন। তা হলে আর আমার সঙ্গে কথা বলতে চান কেন আপনারা?’
রোনালদোর ক্ষুব্ধ হওয়ার কারণ আছে।
তার অভিজ্ঞতা কম থাকার বক্তব্যকে যে ভাবে তুলে ধরেছে স্প্যানিশ মিডিয়া, তাতে রিয়ালের অন্দরমহলেও অশান্তি শুরু হয়ে গিয়েছিল। অধিনায়ক সোর্হিও রামোস পাল্টা বলেছিলেন, এবারের রিয়াল দল আগের বারের চেয়ে শক্তিশালী। রামোসের সেই বক্তব্যের পরে তীব্র জল্পনা তৈরি হয় যে, তার সঙ্গে রোনালদোর ব্যক্তিত্বের সংঘাত শুরু হয়েছে। যদিও দলের পক্ষ থেকে একাধিক ফুটবলার দাবি করেছেন, দুই তারকার মধ্যে সম্পর্ক আগের মতোই বন্ধুত্বপূর্ণ রয়েছে।
মাঠে রিয়ালের খেলায় অবশ্য সম্পর্ক খারাপের কোনও লক্ষণ ছিল না। টটেনহ্যামের কাছে হারের ধাক্কা ভুলে আপোয়েলকে উড়িয়ে দেয় রিয়াল। প্রথমার্ধেই ৪ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল রিয়াল। জোড়া গোলের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়নস লিগে রোনালদোর ৮ গোল হয়ে গেল। চলতি বছরে হলো ১৮টি, যা নতুন রেকর্ড।
এই ম্যাচে রিয়ালের আরো এক প্রাপ্তি, করিম বেনজেমার ফর্মে ফেরা। তিনিও জোড়া গোল করেন এই ম্যাচে। ‘এইচ’ গ্রুপে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে শীর্ষে রয়েছে টটেনহ্যাম। তাদের সংগ্রহ ১৩ পয়েন্ট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিয়ালের রয়েছে ১০ পয়েন্ট। তৃতীয় স্থান এবং ইউরোপা লিগের জন্য লড়াই করছে আপোয়েল ও ডর্টমুন্ড।