বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আমার বিরুদ্ধে যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট। দুটি অভিন্ন তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা হলেও তা অভিন্ন নয় বরং একই ধরনের রিপোর্ট।
আজ বৃহস্পতিবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় টানা ষষ্ঠ সপ্তাহের মতো আত্মপক্ষ সমর্থনের বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৩১ মিনিটে বকশিবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে তিনি বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন। বেলা ১১টা ২০ মিনিটে তিনি আদালতে পৌঁছেন। তার আগে বেলা পৌনে ১১টায় তিনি গুলশানের বাসা থেকে আদালতের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
আদালতে খালেদা জিয়া বলেন, একটি মহল কর্তৃক নির্দেশিত হয়ে পূর্বের রিপোর্টের মতো পরের রিপোর্টও দাখিল করা হয়েছে। প্রথম রিপোর্টে আমার নাম ছিল না, কিন্তু পরের রিপোর্টে শুধু আমার নাম অন্তর্ভুক্ত করে দাখিল করা হয়েছে। তিনি বলেন, তদন্তকারীদের মধ্যে হারুন-অর রশিদ নিরপেক্ষ তদন্ত না করে দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণ করে একটি অসত্য রিপোর্ট দাখিল করে আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।
এর আগে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৩১ মিনিটে বকশিবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে তিনি বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন। এর আগে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে তিনি আদালতে পৌঁছেন।
তার আগে বেলা পৌনে ১১টায় তিনি গুলশানের বাসা থেকে আদালতের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এ নিয়ে টানা ছয় সপ্তাহের মতো আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দিচ্ছেন সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী। তবে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে এর আগেও একদিন বক্তব্য দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার অন্য আসামিরা হলেন, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।