ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের বগুড়ার চার মাথা, মাটিডালি ও বনানী এলাকা অবরোধ করে রেখেছেন মোটর ও ট্রাক শ্রমিকেরা। আজ রোববার বেলা দুইটা থেকে শুরু হওয়া এই অবরোধের কারণে মহাসড়কের দুই পাশে শত শত গাড়ি আটকা পড়েছে। যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।
শ্রমিকেরা সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত অবরোধ চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন। দাবি না মানলে কাল থেকে উত্তরাঞ্চলে অনির্দিষ্টকাল পরিবহন ধর্মঘটের হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার বেলা দুইটার দিকে বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন ও ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করেন। এই কর্মসূচি পূর্বঘোষিত বলে দাবি করেছেন বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল লতিফ মণ্ডল।
আব্দুল লতিফ মণ্ডলের ভাষ্য, সাত দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য তাঁরা এই অবরোধ করছেন। দাবি পূরণের জন্য কর্তৃপক্ষকে এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দাবি বাস্তবায়নের পদক্ষেপ না নেওয়ায় শ্রমিকেরা রাস্তা অবরোধ করতে বাধ্য হয়েছেন।
আব্দুল লতিফ মণ্ডল অভিযোগ করে বলেন, এই মাসে ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান চলার সময় এক চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিড়ে ফেলেন বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার ইউএনও রবিউল ইসলাম। তাঁকে প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকেরা। এ ছাড়া কয়েকদিন আগে ঢাকার অদূরে সাভারের আশুলিয়ায় একজন পুলিশ কর্মকর্তা এক ট্রাক চালককে পিটিয়ে আহত করেন। ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে শ্রমিকেরা। সবমিলে শ্রমিকদের সাত দফা দাবি রয়েছে বলে জানান আব্দুল লতিফ মণ্ডল।
অভিযোগের ব্যাপারে বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার ইউএনও রবিউল ইসলামের ভাষ্য, ‘যখন ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয় তখন পুলিশ পরীক্ষা করে। আমরা করি না। কোনো চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নষ্ট করার প্রশ্নই ওঠে না।’
বগুড়ার জেলা প্রশাসক শফিকুর রেজা বিশ্বাস বলেন, শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিদল পাঠানো হয়েছে। সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বগুড়া পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক বলেন, শ্রমিকেরা আগেই তাঁদের দাবি প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানিয়েছিল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগে বৈঠকের উদ্যোগ নিলে এ সমস্যা হতো না।