হঠাৎ করেই খেলার মোড় ঘুরে গেল। রাজশাহী কিংস কম রানে অল-আউট হয়ে যাবে এমন স্বপ্ন যারা দেখেছিলেন তাদের স্বপ্নভঙ্গ হলো।
২১ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালালেন ডোয়াইন স্মিথ এবং মুশফিকুর রহিম। দুজনেই তুলে নিলেন হাফ সেঞ্চুরি। শেষ দিকটা সামাল দিলেন ফ্র্যাংকলিন। তাতেই খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে স্যামি বাহিনীর সংগ্রহ দাঁড়াল নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬৬ রান।টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই জুনায়েদ খানের জোড়া আঘাতে বিপদে পড়ে রাজশাহী। দলীয় ৬ রানে জুনায়েদের বলে নাজমু হোসেনের তালুবন্দি হন মুমিনুল হক (৫)। ওই ওভারের পঞ্চম বলে নতুন ব্যাটসম্যন ডুরমন্ডকে (০) বোল্ড করে দেন জুনায়েদ। এরপর মঞ্চে আবির্ভাব আবু জায়েদের। তার বলে ক্যাচ দিয়ে ‘ডাক’ মারেন জাকির হাসান।
দ্রুত ৩ উইকেট হারানোর পর ডোয়াইন স্মিথ আর মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় রাজশাহী্ দুজনেই হাত চালিয়ে খেলতে থাকেন। হাফ সেঞ্চুরি করার পর ৩৬ বলে ৭ চার ৪ ছক্কায় ৬২ রান করে আফিফ হোসেনের বলে শান্তর তালুবন্দি হন ডোয়াইন স্মিথ। ভাঙে ৭৬ রানের জুটি। মুশফিকুর রহিমও ৩৩ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ৩ ওভার বাউন্ডারিতে ৫৫ রান করে আবু জায়েদের শিকার হন।
আরেকবার ব্যাকফুটে চলে যায় রাজশাহী কিংস। তবে ৫ নম্বরে নামা ফ্র্যাংকলিন হাল ধরেন। ২৭ বলে ১ ছক্কায় ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। কিন্তু সঙ্গী জোটেনি। অধিনায়ক স্যামি (৩), মেহেদী মিরাজ (৩), মোহাম্মদ সামি (৩) কেউ বড় স্কোর করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে রাজশাহীর রান দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ১৬৬। খুলনার হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন জুনায়েদ খান। আবু জায়েদ নিয়েছেন ২টি।