অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের মাথার দাম ঠিক করে আগেই হুমকি দেওয়া হয়েছিল। হরিয়ানার বিজেপির মুখ্য মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর সুরজপাল আমু তো তা বাড়িয়ে ১০ কোটিতে তুলেছিলেন।
এ বার সেই দীপিকার মাথা চান বলে জানালেন অভিনেতা কমল হাসানও। তবে, অন্য ভাবে। এমনিতেই বিভিন্ন বিষয়ে কমল টুইট করেন। ইদানীং সেই টুইটের লক্ষ্য রাজনীতি। কখনো এআইএডিএমকে, তো কখনো বিজেপিকে বিঁধেই তিনি টুইট করেন। কখনো বা নিজের রাজনৈতিক দল এবং ভক্তদের উদ্দেশে রাজনৈতিক বার্তা দিতেও ব্যবহার করেন ওই সোশাল মিডিয়াকে। কিন্তু, সোমবার পদ্মাবতী বিতর্কে মুখ খুলতেই টুইট করেছেন তিনি। ওই বার্তায় কমল লিখেছেন, আমি দীপিকার মাথা চাই…সুরক্ষিত। ওঁর শরীরের থেকেও বেশি ওঁর মাথাকে আমি সম্মান করি। ওঁর স্বাধীনতার থেকেও। সেটা অস্বীকার করতে পারব না। অনেক গোষ্ঠী আমার ছবিরও বিরোধিতা করেছে। যেকোনো বিতর্কেই চরমপন্থা মেনে নেওয়া যায় না। বুদ্ধিমান ভারত জাগো। ভাবার সময় এসেছে। অনেক বেশি বলে ফেলেছি আমরা। এবার ভারত মায়ের কথা শোনো।
এমনিতেই নানা চাপের মুখে শেষমেশ পদ্মাবতীর মুক্তি পিছিয়ে দিয়েছে ওই চলচ্চিত্র নির্মাতা সংস্থা। যদিও তাতে হুমকি থামছে না। হরিয়ানার বিজেপির মুখ্য মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর সুরজপাল আমু সম্প্রতি হুমকি দেন ছবির নায়িকা দীপিকা পাড়ুকোনের মাথা কাটতে পারলে দশ কোটি টাকা পুরস্কার মিলবে। প্রকাশ্যেই ওই পুরস্কার-এর কথা ঘোষণা করে আমু। আমু একা নন, বিক্ষোভে যোগ দিয়ে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজেও কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে চিঠি লেখেন, ছবির প্রয়োজনীয় পরিবর্তন না করে পদ্মাবতীকে যেন মুক্তির ছাড়পত্র না দেওয়া হয়।
উত্তর প্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্যও দাবি করেছেন, বিতর্কিত অংশ বাদ না দিলে তাঁর রাজ্যে ছবি মুক্তি আটকে দেওয়া হবে। ওই টুইট বার্তায় কমল আসলে এই সব কট্টরপন্থীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর বার্তা দিতে চেয়েছেন। আগামী ১ ডিসেম্বর সঞ্জয় লীলা ভংসালী পরিচালিত পদ্মাবতী মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রানি পদ্মাবতীর নাচের দৃশ্য নিয়ে আপত্তি ওঠে। ছবিতে আলাউদ্দিন খিলজির সঙ্গে রানির আপত্তিকর স্বপ্ন-দৃশ্য রয়েছে দাবি করেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন রাজপুতরা। ক্রমে তা ছড়ায় গোটা দেশে। এর মধ্যেই দীপিকা পাড়ুকোন মন্তব্য করেন, ছবি মুক্তি পাবেই। আর তাতেই আগুনে ঘি পড়ে। তার পর থেকে কখনো নাক কাটার হুমকি, তো কখনো মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছে।