বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ইঙ্গিত করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘এঁরাই তো তাঁরা, যাঁরা ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করেছিলেন।’
সচিবালয়ে আজ রোববার বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত জুয়াও তাবাজারা ডি অলিভিরা জুনিয়রের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী এমন মন্তব্য করেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল নাগরিক সভা হয়েছে। এটা দলীয় সভা ছিল না। ছিল সবার জন্য সভা। বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ইউনেসকোর স্বীকৃতি আনন্দের ব্যাপার। তা-ও মনে হয়, কষ্ট করে বলেছেন। এমনভাবে বলেছেন যে না বলে পারা যায় না। অথচ এঁরাই তো তাঁরা, যাঁরা ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করেছিলেন।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘গতকালের সমাবেশে হাজার হাজার, লাখ লাখ লোক যোগ দিয়েছে। আমি অবাক হয়ে গেলাম ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, স্কুল, কলেজের শিক্ষক, অমুক-তমুক সমাবেশে এসেছেন। এমন কোনো জায়গা নেই যে বিএনপি সেখানে ছোট করার চেষ্টা করে না, জাতিকে ছোট করে না।’
মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো সহজ হবে না বলেও মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী। বলেন, রোহিঙ্গা বিষয়ে জাতিসংঘে চীন ও রাশিয়া বাংলাদেশের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। অথচ এই দুই দেশকে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল দিতে চেয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ কি এখনো সেই অবস্থানে—এমন প্রশ্নের সরাসরি জবাব দেননি বাণিজ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘রোহিঙ্গা বিষয়ে সারা বিশ্বেই আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। তবে ভারত শুরুর দিকে যে অবস্থানে ছিল, এখন সে অবস্থানে নেই। তারা পক্ষেও না, বিপক্ষেও না।’
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসে বলে গেছেন, রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে তিনি উদ্যোগ নিতে পারেন। দেশটির অবশ্য স্বার্থ রয়েছে মিয়ানমারের প্রতি। তারা সেখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল করবে, শিল্পপার্ক করবে। তাদের অনেক ব্যাপার আছে। ভারতও মিয়ানমারে বন্দর করেছে। আর রাশিয়া বিক্রি করে অস্ত্র।
কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় সরকার রোহিঙ্গা ইস্যুকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে পেরেছে উল্লেখ করে তোফায়েল বলেন, ‘মিয়ানমারও এখন নমনীয়। আশা করি, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে পারব। যদিও এটা সহজ কাজ নয়। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও একই কথা বলেছেন, কাজটা কঠিন। কিন্তু আমাদের কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত আছে।’