গতকাল শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার মির্জাপুরের রাজাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শ্যামলী পরিবহনের বাসটি কুড়িগ্রামের বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ঢাকায় ফিরছিল।
বাসটির সুপারভাইজার মো. রেজা (৩৫) বলেন, পাঁচজন ডাকাত যাত্রীর বেশে বাসে উঠেছিলেন। তাঁরা বুড়িমারীর শ্যামলী কাউন্টার থেকে টিকিট কেটেছিলেন ঢাকা যাওয়ার জন্য। তিনি আরও বলেন, স্থলবন্দর থেকে ছেড়ে আসার সময় বাসটিতে নারী-পুরুষ মিলে ৩০ জন যাত্রী ছিল। এর মধ্যে ২৩ জন ছিলেন ভারত থেকে আসা পাসপোর্টধারী। তাঁদের মধ্যে একজন ভারতীয় নাগরিক মনসুর হোসেন (৩৫)। বাকি পাসপোর্টধারী যাত্রীরা বাংলাদেশি। পাসপোর্টধারী সব যাত্রী ভারতের শিলিগুড়ি থেকে ওই দেশের শ্যামলী পরিবহন বাসে করে বুড়িমারী সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরছিলেন।
রেজা আরও বলেন, ডাকাতদল ধারালো ছোরা দিয়ে ভয় দেখিয়ে ১৫ যাত্রীর কাছ থেকে মুঠোফোন, নারী যাত্রীর কাছ থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ ২৫ হাজার টাকা, যাত্রীদের নগদ প্রায় দুই লাখ টাকাসহ অন্তত চার লাখ টাকার মালামাল লুট করেছে।
বাসের চালক সেলিম মিয়া (৪২) বলেন, বাসটি বগুড়ার সেনানিবাস পার হওয়ার পর যাত্রীবেশী ডাকাতদলের তিনজন পেছন থেকে এসে তাঁর গলায় ধারালো ছোরা ধরে। তাদের একজন চালকের আসনে বসে বাস চালায়। বাসের ভেতরের সব আলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করার পর রাজাপুর এলাকায় একটি ইটখোলার কাছে বাস থামিয়ে ডাকাতদল নেমে যায়।
শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলামের ভাষ্য, বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।