নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনের সংসদ ছবি বিশ্বাস ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চন্দন বিশ্বাসকে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি করায় এক যুবককে পুলিশ আটক করে। পরে মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পান তিনি।
ওই যুবকের নাম গোলাপ বিশ্বাস (৩৫)। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আলী বিশ্বাসের ছেলে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ তাঁকে হাসপাতাল রোড এলাকা থেকে আটক করে।
পুলিশ ও আওয়ামী লীগ দলীয় বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গোলাপ বিশ্বাস জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই বিভিন্ন সময় সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাস ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চন্দন বিশ্বাসকে নিয়ে মানুষের কাছে বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা বলে আসছিলেন। সম্প্রতি তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সভাপতিকে নিয়ে নানা ধরনের আপত্তিকর লেখা পোস্ট দিচ্ছিলেন। এ নিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। গতকাল রাতে উপজেলা যুবলীগের নেতা-কর্মীরা মারমুখী হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে কলমাকান্দা থানা-পুলিশ রাত সাড়ে আটটার দিকে গোলাপ বিশ্বাসকে হাসপাতাল রোড এলাকা থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে পুলিশ বুঝিয়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে। ওই দুই ব্যক্তিকে নিয়ে ভবিষ্যতে আর এ ধরনের অশ্রাব্য কথাবার্তা ও ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ লেখা পোস্ট না দেওয়ার অঙ্গীকার করে মুচলেকা দিলে পুলিশ তাঁকে ছেড়ে দেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাস বলেন, ‘আমার ও চন্দন বিশ্বাসের নামে ফেসবুকে আপত্তিকর নানা কথা ছেলেটি ছড়াতেন বলে শুনেছি। এখন পুলিশ যা ভালো মনে করেছে তাই করেছে।’
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি পলাশ বিশ্বাস বলেন, ‘গোলাপ বিশ্বাস সংসদ সদস্য ও উপজেলা সভাপতিকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা ও বিভিন্ন ধরনের কটূক্তি করে আসছেন। তাঁর এমন হীন কাজে বৃহস্পতিবার রাতে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে পুলিশ তাঁকে আটক করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।’
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গোলাপের ফেসবুক পরীক্ষা করে সত্যতা পাওয়া গেছে। ভবিষ্যতে তিনি এ কাজ করবেন না বলে মুচলেকা দিলে ওই রাতেই তাঁকে ছাড়া হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত গোলাপ বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।