কলাপাড়া-কুয়াকাটা সড়কে ‘সমুদ্র সৈকত’ নামের একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে এক বৃদ্ধা নিহত এবং ১৩ জন আহত হয়েছেন। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের খলিলপুর গ্রাম বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন এলাকায় এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত যাত্রীর নাম হচ্ছে সরভানু (৮০)। সে লতাচাপলী ইউনিয়নের খাজুরা গ্রামের আব্দুর রহমানের স্ত্রী।
আহত বাসযাত্রী মো. আল-আমীন জানায়, ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে সকাল ৭টার দিকে খেশ কামাল সেতুর ঢালে কলাপাড়া অংশে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে বাসচালক শহীদ মৃধা কলাপাড়ায় থেকে যায়। এরপর ওই বাসের একজন হেলপার বাস নিয়ে কুয়াকাটার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। পাখিমারা বাজার বাসস্ট্যান্ডে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে সে বেপরোয়া গতিতে চালাতে গিয়ে খলিলপুর বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে একটি ব্যাটারিচালিত অটোবাইককে রক্ষা করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে রাস্তায় উল্টে যায়। এ সময় আহত হয় সালেহা বেগম, জাকির হোসেন, তানিয়া বেগম, বাবুল হোসেন, ফিরোজ, মামুন মিয়া, রফিক মিয়া, আল-আমীন, রশিদ হোসেন, ইউসুফ মিয়া, জাকির হোসেন, সালাউদ্দিন এবং মো. শাহীন।তবে সরভানুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলাপাড়া হাসপতালে চিকিৎসা দেওয়ার পর সে মৃত্যুর কলে ঢলে পরে বলে নিশ্চিত করেছে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা সহকারী মো. হালিম নিশ্চিত করেছেন।
এ ব্যাপারে লতাচাপলী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. আনছার উদ্দিন মোল্লা জানান, নিহত সরভানুর লাশ স্বজনরা সনাক্ত করেছেন। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ায় তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ পটুয়াখালী পাঠিয়েছেন।
আহতর্ সকলেই আমাদের কুয়াকাটা, লতাচাপলী ও মহিপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা।তিনি আরো জানান, অদক্ষ হেলপারের মাধ্যমে বাসটি চালানোর জন্যই আজ এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে আমাদের এলাকার মানুষ। তবে এ ঘটনায় প্রসাশনের কঠোর পদক্ষেপ দাবি করছি।
কলাপাড়া থানার ওসি মো. আলাউদ্দিন জানান, সড়ক দুর্ঘটনার পর আহতদের উদ্ধারে সহায়তা সড়কের উপর পরে থাকা বাসটি অপসারণ করে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক করেছি। এ ঘটনায় নিহত সরভানুর ছেলে আ. ছালাম মোল্লা বাদী হয়ে কলাপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। গাড়ির ড্রাইভার শহীদ মৃধা ও হেলপারসহ অন্যান্যরা পলাতক থাকায় কাউকে আটক করা যায়নি। তবে বাসটি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।