উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার না করার বিষয়ে উভয় পক্ষের চুক্তি রয়েছে। তবে দীর্ঘ ৩০ বছর পর সে নিষেধাজ্ঞা ভাঙল উত্তর কোরিয়া।
এবার উত্তর কোরিয়ার সেনারা অবশ্য দক্ষিণ কোরিয়ার কোনো সেনার দিকে গুলি করেনি। এক উত্তর কোরীয় সেনা সীমান্ত পেরিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার দিকে চলে যাচ্ছিল। এ সময় তাকে পেছন থেকে ধাওয়া করে গুলি করে উত্তর কোরীয় সেনারা।
উত্তর কোরিয়ার সে সেনাকে লক্ষ্য করে মোট ৪০ রাউন্ড গুলি করা হয়। তার দেহে পাঁচটি গুলি লাগে।
উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীর গুলিতে আহত সেই সেনা শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাদের হাতে উদ্ধার হন। এরপর তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়া সীমান্তের পানমুনজম এলাকার একটি গ্রামে ওই সেনাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
কনুই এবং কাঁধে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে ছিলেন তিনি।
দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাতিসংঘ কমান্ডের সদস্যরা তাকে তাৎক্ষণিকভাবে হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। তবে এ ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকে সীমান্তে পাল্টা গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেনি।
দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর যুগ্ম প্রধান এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তাদের সীমানার ৫০ মিটারের মধ্যেই ওই সেনা সদস্য আহত অবস্থায় পড়ে ছিলেন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
উত্তর কোরিয়া এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি। ঘটনাটি এমন একসময়ে ঘটল, যখন উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জেরে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সামরিক হাসপাতালে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অস্ত্রোপচারের পর বর্তমানে নিবিড় তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। সামরিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তার ব্যক্তিগত পরিচয় ও এভাবে সীমান্ত পেরিয়ে আসার উদ্দেশ্য এখনো অজ্ঞাত। তার অবস্থা এখন আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সূত্র : গার্ডিয়ান