দাবি জানিয়েছিল ভারতের ওডিশা রাজ্যও। রসগোল্লার ‘যুদ্ধে’ শেষ পর্যন্ত শেষ হাসি হাসলো পশ্চিমবঙ্গ। জিতে নিলে আন্তর্জাতিক জিওগ্রাফিকাল ইনডেক্স (জিআই) সনদ। এই জয়ে আপ্লুত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দিতে তিনি গেছেন লন্ডনে। সেখান থেকেই তিনি রাজ্যবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। সম্মান প্রাপ্তির উৎসব শুরু হয়ে গেছে গোটা পশ্চিমবঙ্গে, চলছে উল্লাস।
মঙ্গলবার জিওগ্রাফিকাল ইনডেক্স কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে ছানার রসগোল্লায় একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ সরকারেরই অধিকার। রাজ্য সরকারের পেটেন্ট ইনফরমেশন সেন্টারের সিনিয়র সায়েন্টিস্ট মহুয়া হোমচৌধুরী বললেন, ‘এই স্বীকৃতির পর আসলে দায়িত্ব বেড়ে গেল। কারণ এবার থেকে রাজ্যের সর্বত্র এর মান নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’
মিষ্টান্ন গবেষক হরিপদ ভৌমিক জানিয়েছেন, উনিশ শতকের ষাটের দশকের আগে রসগোল্লার অস্তিত্ব সে ভাবে কারো জানা ছিল না। চৈতন্য চরিতামৃতে কিছু ছানার উল্লেখ থাকলেও তার মধ্যে রসগোল্লার নাম নেই। জগন্নাথ দেবকে দেওয়ার জন্য যে মিষ্টিটি আগে ব্যবহার করা হতো তার নাম ক্ষীরমহল। এর সঙ্গে রসগোল্লার কিছু মিল থাকতে পারে, কিন্তু তা আদতে ছানার নয়। তবে জিআই কর্তৃপক্ষ মেনে নিয়েছেন, ছানা দিয়ে মিষ্টি তৈরির প্রক্রিয়াটা পুরোপুরি বাংলার নিজস্ব।