আড়াই বছরেরও বেশি সময় আগে সন্তানকে হারিয়েছিলেন আব্দুল-মুনিম সুনন্দ জিতমুদ। পিৎজা হাটের অর্ডার ডেলিভারির সময় হত্যা করা হয়েছিল তার সন্তানকে।
সেই হত্যাকাণ্ডের রায়ের অপেক্ষায় গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকির আদালতে বসে ছিলেন জিতমুদ। জিতমুদের সন্তান সালাহউদ্দিনকে হত্যায় সহায়তাকারীকে আদালত যখন সাজার রায় শোনাবেন, তখনই আদালতে দাঁড়িয়ে টেরি অ্যালেক্সান্ডার রেলফোর্ড নামের ওই ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দেন তিনি। আদালতের সাক্ষ্য দানের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তাকে ক্ষমা করে দিয়ে জিতমুদ বলেন, ইসলামে ক্ষমা একটি মহৎ গুণ।
এরপর কিছু সময়ের জন্য আদালতে বিরতি ঘোষণা করেন বিচারক কিম্বার্লি বাননেল্ল। যখন আদালতের কার্যক্রম আবার শুরু হয় তখন রেলফোর্ড জিতমুদের কাছে ক্ষমা চান। জিতমুদ তখন ২৪ বছর বয়সী এই যুবককে বুকে জড়িয়ে নেন। এ সময় রেলফোর্ড টিস্যু দিয়ে তার অশ্রু মুছছিলেন। জিতমুদ তাকে বলেন, চিন্তা কর না, এটা শেষ, তোমার জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হলো।
তিনি বলেন, নতুনভাবে শুরু।
তোমাকে এগিয়ে যেতে হবে এবং তুমি জেলখানা থেকেই এই কাজ শুরু করতে পার। ৩১ বছর বয়সে তুমি যখন জেলখানা থেকে বের হবে তখন নিজেকে একজন কর্মক্ষম মানুষ হিসেব তৈরি করবে। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনার জন্য আমি তোমাকে দোষারোপ করছি না, আমি শয়তানকে দোষারোপ করছি যে তোমাকে এমন পথে যেতে প্ররোচনা দিয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের এপ্রিলে কেনটাকির লেসিংটনে পিৎজা ডেলিভারির সময় হত্যা করা হয় জিতমুদের ২২ বছর বয়সী সন্তানকে। ওই সময়ে ডাকাতির পরিকল্পনা ও ছুরি সরবরাহ করেন রেলফোর্ড।