বিশ্বের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ এখনো দারিদ্র সীমার নিচে জীবন-যাপন করেন। এমতাবস্থায় বিশ্বের সবচেয়ে ধনী মানুষ বিল গেটসকে যদি মাত্র ২ ডলারে জীবন ধারণ করতে হত তাহলে তিনি কী করতেন?
উত্তরে বিল গেটস জানান, তিনি মুরগী পালতেন! সম্প্রতি এক ব্লগ পোস্টে এমনটাই জানিয়েছেন বিল গেটস।
বিল গেটস লিখেছেন, ‘এর কোনো একটি সঠিক উত্তর নেই। আর ভিন্ন ভিন্ন স্থানে দারিদ্রের চেহারাও ভিন্ন ভিন্ন। ’
‘তবে আমার গড়া বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে কাজ করতে গিয়ে আমি দরিদ্র দেশগুলোতে এমন অনেক মানুষের দেখা পেয়েছি যারা মুরগী পালেন। আর আমি এই পাখিটির লালন-পালন সংক্রান্ত খুটিনাটি সব তথ্য জেনেছি। এ থেকে আমি পরিষ্কারভাবে বুঝতে পেরেছি যারা চরম দারিদ্রের মধ্যে আছেন তারা যদি মুরগী পালেন তাহলে তাদের অবস্থার উন্নতি হতে পারে। ’
বিল গেটস জানান, মুরগী পালার প্রধান কারণগুলো হলো; মুরগী দামে সস্তা এবং তাদের যত্ন নেওয়াও সহজ। তারা একটি ভালো বিনিয়োগ। মুরগীর মাংস খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে। আর মুরগী পালন করে এমনভাবে আয় করা সম্ভব যাতে নারীদের ক্ষমতায়ন সম্ভব।
এবং নারীরা উদ্যোক্তার ভুমিকায়ও আসতে পারেন এর মাধ্যমে।
টেক ইনসাইডারের ক্রিস ওয়েলার জানান, ‘পশ্চিম আফ্রিকায় ভ্রমণ এবং গবেষণা করে গেটস দেখতে পেয়েছেন মাত্র তিন মাসের মধ্যেই ৮-১০টি মুরগীর একজন মালিক ৪০টি মুরগী উৎপাদন করতে পারেন। যার প্রতিটি মুরগীর দাম হয় ৫ ডলার। এ থেকে বছরে ১ হাজার ডলার আয় করা সম্ভব। চরম দারিদ্র হলো বছরে ৭০০ ডলারে জীবন ধারন। ’
বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন হেইফার ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি দাতব্য সংস্থার সঙ্গে মিলে বিশ্বব্যাপী দরিদ্র পরিবারগুলোকে গবাদি পশু দিয়ে সহায়তা করার কাজ করছে। আর সাব-সাহারান আফ্রিকার ৩০% পরিবারকে মুরগী পালনে সহায়তা করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
গেটস বলেন, ‘আমার কথা শুনে হয়তো ফানি মনে হতে পারে। কিন্তু আমি যা বলছি তা আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি। ’
সূত্র: দ্য ইনডিপেনডেন্ট