মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যার বয়স চার বছর ছিল, তাকেও মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আদালতের এমন আদেশে তাঁরা বিব্রত হচ্ছেন।
আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মোজাম্মেল হক বলেন, কেউ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা কি না, তা দেখে আদালত যদি আদেশ দেন, তাহলে সংকট থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
সোমবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে আলাদা প্রশ্নের জবাবে মোজাম্মেল হক এসব এ কথা বলেন।
বিরোধীদলীয় সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদের প্রশ্নের জবাবে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় যার বয়স চার বছর ছিল, তাকেও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে আদালত আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন। শুধু তা–ই নয়, তাদেরকে ২৩ বছরের এরিয়ার ভাতা দিতেও বলা হয়েছে। চার বছরের শিশু কী করে…আমরা মুক্তিযোদ্ধা বানাব? আদালতের এমন আদেশে আমরা বিব্রত হচ্ছি। ’
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা কী করব, কোথায় যাব, সেই জায়গা পাচ্ছি না। তবে আমরা বাস্তবতাগুলো আদালতে বলেছি। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি, এই সংকট কাটিয়ে উঠতে পারব।’
মোজাম্মেল হক বলেন, এখনো অনেক অমুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাচ্ছেন। কারণ, যাচাই–বাছাই করতে গিয়ে তা শেষ হওয়ার আগেই আদালত তা স্থগিত করছেন। মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধা হওয়া মৌলিক অধিকার নয়। আইনের ভুল ব্যাখ্যার কারণে তাঁরা সমস্যায় পড়ছেন। তিনি আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, কেউ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা কি না, তা দেখে আদালত যদি আদেশ দেন, তাহলে সংকট থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীকে বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে উপস্থাপন করার পরামর্শ দেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মোজাম্মেল হক বলেন, আগামী তিন দিনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। কোনো মুক্তিযোদ্ধা বাদ পড়লে তাঁরা আবেদন করতে পারবেন। পরে তা যাচাই–বাছাই করে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।