ইরাক ও ইরান সীমান্তবর্তী এলাকায় ৭ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০০ জনে দাঁড়িয়েছে। এতে আহত হয়েছেন এক হাজার আটশরও বেশি মানুষ।
এখনও বহু মানুষ ধ্বংসস্তুপে আটকে আছে। এ কারণে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করছে কর্তৃপক্ষ।স্থানীয় সময় গতকাল রবিবার রাত ৯টায় ইরাকের হালাবজা শহর থেকে ২১ মাইল দক্ষিণে শক্তিশালী এ ভূমিকম্প আঘাত হানে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ভূমিকম্পে ইরানের পশ্চিমাঞ্চলে কেরমানশা প্রদেশে অন্তত ১২৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ ছাড়া ইরাকে ছয়জন মারা যান। ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন এক হাজারেরও বেশি মানুষ। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়ার আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।
রেড ক্রিসেন্টের কর্মকর্তারা বলেছেন, এ ঘটনায় ইরানের কমপক্ষে আটটি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আরো অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ এবং টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
ভূমিকম্পের পর ভূমিধসের কারণে উদ্ধার কাজও ব্যাহত হচ্ছে।
ইরানি নিউজ চ্যানেল আইআরআইএনএনকে ইরানের রেড ক্রিসেন্ট অর্গানাইজেশনের প্রধান মোরতেজা সেলিম জানান, কমপক্ষে আটটি গ্রামে ক্ষতির খবর পেয়েছেন তারা। কিছু গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। সেসব স্থানে টেলিযোগাযোগব্যবস্থাও ব্যাহত রয়েছে।ইরানের জরুরি সহায়তা বিভাগের প্রধান জানিয়েছেন, বেশির ভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন শারপল-ই যাহাব শহরে।
এদিকে ইরাকের পাশাপাশি ইসরায়েল ও কুয়েতেও ভূকম্পন অনুভূত হয়। এ সময় আতঙ্কিত লোকজন বাড়িঘর থেকে ছুটে বেরিয়ে রাস্তায় নেমে আসে।
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে ৬ দশমিক ৬ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল ইরানে। সে সময় নিহত হয়েছিল ২৬ হাজার মানুষ।
সূত্র : আল জাজিরা