অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ফিলিপ হিউজের মৃত্যু নাড়া দিয়েছে পুরো ক্রিকেট বিশ্বকে। ক্রিকেট বিশ্বে এ ধরনের দুর্ঘটনা নিয়মিত না হলেও একেবারে বিরল নয়। ১৯৯৮ সালে ঢাকার মাঠে এমনি এক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটার রমন লাম্বা। কিন্তু এ ঘটনার পর ঢাকার মাঠে ক্রিকেটারদের সুরক্ষার কি ব্যবস্থা এখন আছে? এ ক্ষেত্রে কতটা উন্নতি হয়েছে? ঢাকার দল আবাহনী লিমিটেডের হয়ে খেলতে এসে ফিল্ডিংরত অবস্থায় বলের আঘাত পেয়েছিলেন লাম্বা। তিনদিন পর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
দিনটি ছিল ১৯৯৮ সালের ২০শে ফেব্রুয়ারি। ঢাকার ঘরোয়া টুর্নামেন্টে মুখোমুখি আবাহনী এবং মোহামেডান। খেলার শেষদিকে ব্যাটসম্যানের খুব কাছে শর্ট লেগে ফিল্ডিং করতে আসলেন রমন লাম্বা। তার কয়েক মুহূর্ত পরেই গুরুতর আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ভারতের হয়ে একসময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা ৩৮ বছর বয়স্ক ক্রিকেটার রমন লাম্বাকে। আবাহনী ক্রিকেট দলের বর্তমান টিম ম্যানেজার শেখ মামুন তখন খুব কাছ থেকেই দেখছিলেন মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি। শর্ট বলে মেহরাব হোসেন অপি পুল করলে বলটি রমন লাম্বার মাথায় লাগে আর ১০ গজ দুরে পাইলট সেই বলটি ক্যাচ ধরেন। মেহরাব হোসেন অপি আউট, ম্যাচ আমি জিতেছি, কিন্তু রমন লাম্বাকে আর পাইনি। তিন দিন অজ্ঞান থাকার পর সে হাসপাতালে মারা যায়। বলেন মামুন।
তিনি বলছিলেন, খেলার মাত্র কয়েকটি বল বাকি থাকায় বিপজ্জনক ওই স্থানে হেলমেট পড়তে চাননি রমন লাম্বা। আমরা তাঁকে বলেছিলাম হেলমেট নিতে। কিন্তু সে বলল ‘আরে ইয়ার অনলি ওয়ান বল, কিন্তু সেই একটা বলই লাগলো তার গায়ে। বাংলাদেশের ঘরোয়া লিগে তখন যে কয়কজন বিদেশী ক্রিকেটার খেলতে আসতেন, রমন লাম্বা ছিলেন তাদের মধ্য অন্যতম। প্রায় ৯ বছর তিনি বাংলাদেশের ঘরোয়া লীগে নিয়মিত খেলেছেন। বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার এবং বর্তমান আবাহনী দলের অধিনায়ক জিয়াউর রহমান বলছিলেন, ক্রিকেটাররাও অনেকসময় আত্মবিশ্বাসের কারণে সতর্ক থাকেন না। আর সেটিই একসময় হয়তো বিপদ বয়ে আনে। মাঠে থাকলে অনেকসময় এসব বিষয় মাথায় কাজ করে না। উইকেট ফ্ল্যাট থাকলে আত্মবিশ্বাসের কারণে আমরা ব্যাটসম্যানরাও অনেকসময় হেলমেট নিতে চাই না। তবে এটা ঠিক না, সবধরণের নিরাপত্তাই নেয়া উচিত।
আবাহনী কর্মকর্তা শেখ মামুন বলছিলেন, রমন লাম্বার মৃত্যুটি তাঁদের জন্য যেমন ছিল একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা, তেমনি একটি সতর্কবার্তাও। এর পর পরিবর্তনটা এখন দেখতেই পাচ্ছেন, নিয়মও অনেক পাল্টে গেছে। এখন খেলার মাঠে ফিজিও এবং ডাক্তার সারাক্ষণই উপস্থিত থাকে, যেটা দশ বছর আগেও ছিল না। হয়তো একটা অ্যাম্বুল্যান্স থাকে না, প্রয়োজনে ডেকে আনতে হয়। তবে আমরা এখন অনেক ভালো অবস্থানে। রমন লাম্বার মতো গত ১০ বছরে ক্রিকেট মাঠে আহত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত চার জন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। যার শেষ উদাহরণ অস্ট্রেলিয়ার ফিলিপ হিউজ। ক্রিকেটে এখন যত আধুনিকই হোক না কেন, খেলাটিকে নিরাপদ করার জন্য যে আরো কিছু করা যায় হিউজর মৃত্যু সবাইকে সেটিই মনে করিয়ে দিয়েছে।
দিনটি ছিল ১৯৯৮ সালের ২০শে ফেব্রুয়ারি। ঢাকার ঘরোয়া টুর্নামেন্টে মুখোমুখি আবাহনী এবং মোহামেডান। খেলার শেষদিকে ব্যাটসম্যানের খুব কাছে শর্ট লেগে ফিল্ডিং করতে আসলেন রমন লাম্বা। তার কয়েক মুহূর্ত পরেই গুরুতর আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ভারতের হয়ে একসময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা ৩৮ বছর বয়স্ক ক্রিকেটার রমন লাম্বাকে। আবাহনী ক্রিকেট দলের বর্তমান টিম ম্যানেজার শেখ মামুন তখন খুব কাছ থেকেই দেখছিলেন মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি। শর্ট বলে মেহরাব হোসেন অপি পুল করলে বলটি রমন লাম্বার মাথায় লাগে আর ১০ গজ দুরে পাইলট সেই বলটি ক্যাচ ধরেন। মেহরাব হোসেন অপি আউট, ম্যাচ আমি জিতেছি, কিন্তু রমন লাম্বাকে আর পাইনি। তিন দিন অজ্ঞান থাকার পর সে হাসপাতালে মারা যায়। বলেন মামুন।
তিনি বলছিলেন, খেলার মাত্র কয়েকটি বল বাকি থাকায় বিপজ্জনক ওই স্থানে হেলমেট পড়তে চাননি রমন লাম্বা। আমরা তাঁকে বলেছিলাম হেলমেট নিতে। কিন্তু সে বলল ‘আরে ইয়ার অনলি ওয়ান বল, কিন্তু সেই একটা বলই লাগলো তার গায়ে। বাংলাদেশের ঘরোয়া লিগে তখন যে কয়কজন বিদেশী ক্রিকেটার খেলতে আসতেন, রমন লাম্বা ছিলেন তাদের মধ্য অন্যতম। প্রায় ৯ বছর তিনি বাংলাদেশের ঘরোয়া লীগে নিয়মিত খেলেছেন। বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার এবং বর্তমান আবাহনী দলের অধিনায়ক জিয়াউর রহমান বলছিলেন, ক্রিকেটাররাও অনেকসময় আত্মবিশ্বাসের কারণে সতর্ক থাকেন না। আর সেটিই একসময় হয়তো বিপদ বয়ে আনে। মাঠে থাকলে অনেকসময় এসব বিষয় মাথায় কাজ করে না। উইকেট ফ্ল্যাট থাকলে আত্মবিশ্বাসের কারণে আমরা ব্যাটসম্যানরাও অনেকসময় হেলমেট নিতে চাই না। তবে এটা ঠিক না, সবধরণের নিরাপত্তাই নেয়া উচিত।
আবাহনী কর্মকর্তা শেখ মামুন বলছিলেন, রমন লাম্বার মৃত্যুটি তাঁদের জন্য যেমন ছিল একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা, তেমনি একটি সতর্কবার্তাও। এর পর পরিবর্তনটা এখন দেখতেই পাচ্ছেন, নিয়মও অনেক পাল্টে গেছে। এখন খেলার মাঠে ফিজিও এবং ডাক্তার সারাক্ষণই উপস্থিত থাকে, যেটা দশ বছর আগেও ছিল না। হয়তো একটা অ্যাম্বুল্যান্স থাকে না, প্রয়োজনে ডেকে আনতে হয়। তবে আমরা এখন অনেক ভালো অবস্থানে। রমন লাম্বার মতো গত ১০ বছরে ক্রিকেট মাঠে আহত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত চার জন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। যার শেষ উদাহরণ অস্ট্রেলিয়ার ফিলিপ হিউজ। ক্রিকেটে এখন যত আধুনিকই হোক না কেন, খেলাটিকে নিরাপদ করার জন্য যে আরো কিছু করা যায় হিউজর মৃত্যু সবাইকে সেটিই মনে করিয়ে দিয়েছে।