সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন। হয়ে গেল গায়ে হলুদও।
কিন্তু হঠাৎই অসুস্থ হয়ে গেল পাত্রী। তাকে নিয়ে যাওয়া হলো হাসপাতালে। তবে এতে থেমে যায়নি বিয়ে। বরযাত্রীসহ হাসপাতালে গিয়ে হাজির বর। সেখানেই পাত্রীকে হুইল চেয়ারে বসিয়ে সম্পন্ন হলো বিয়ে। ঘটনাটি ভারতের হায়দরাবাদের। গত বুধবার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল একটি সংস্থায় কর্মরত আইনজীবী হেরা জাভেদের। সেই মতো ছুটি নিয়ে কলকাতার বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। সোমবার গায়ে হলুদও হয়ে যায়। কিন্তু সন্ধ্যা থেকে হেরার শুরু হয় অসহ্য পেটের যন্ত্রণা, সঙ্গে বমি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
জিডি হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, তার অন্ত্রে কিছু সমস্যা হয়েছে। চিকিৎসা শেষ হয়নি, ফলে বিয়ের আগে ছেড়ে দেওয়ার প্রশ্নই নেই। পাত্র পাত্রী দুজনের পরিবারেই ঘনিয়ে আসে মেঘ। গায়ে হলুদের পর বিয়ে বন্ধ হওয়াকে অমঙ্গল হিসেবে ভাবেন তারা। শেষে ঠিক হয়, বিয়ে হবে, বুধবার রাতেই হবে।
পাত্র মো. শাহনাওয়াজ আলম মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, থাকেন সৌদি আরবের দাম্মামে। তিনি পরিবারের ১৫ জন সদস্য নিয়ে চলে আসেন জিডি হাসপাতাল। রাইলস টিউব খুলে লাল লেহেঙ্গা পরা ২৮ বছরের হেরাকে হুইল চেয়ারে বসিয়ে নিয়ে আসা হয় হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে। তখনো হাতে ছিল স্যালাইনের চ্যানেল। সেখানেই কাজির সামনে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
হাসপাতাল যে নিজেদের কনফারেন্স রুমে হেরা-শাহনাওয়াজের বিয়ের অনুষ্ঠান করতে দিয়েছে তাতে কৃতজ্ঞ দুই পরিবার। শুধু ঘরের ব্যবস্থা করা নয়, হাসপাতাল কর্মীরা চা, কফি, সন্দেশ, বিস্কুটের আয়োজন করেন তাদের জন্য। বিয়ের পর হেরা সোজা ফিরে যান হাসপাতালের ফিমেল ওয়ার্ডে। আর শাহনাওয়াজ যান বেনিয়াপুকুরের বিয়েবাড়িতে, অতিথিদের পেট ভরে খাওয়ান মাটন বিরিয়ানি, চিকেন চাপ, বেবি নান আর শাহি টুকরার ভোজ।