অতিবর্ষণে সারাদেশে চার লাখ কিলোমিটার রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত

Slider জাতীয়

183704kalerkanrtho_pic.jepg_

 

 

 

 

চলতি বছরে অতি বর্ষণের ফলে সারাদেশে শুধুমাত্র স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রায় ৩ লাখ ৪১ হাজার কিলোমিটার রাস্তার মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া সড়ক ও জনপথের আওতাধীন প্রায় ৪১ হাজার কিলোমিটার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

অতীতে অতি বর্ষণে ফলে এতো রাস্তাঘাটের ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি। এসব ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাটের সার্বিক তথ্য তৈরি করা হয়েছে। অচিরেই ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

আজ রবিবার বিকালে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এতথ্য জানান এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙা। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন জাসদ দলীয় সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধান।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, জাইকার কারিগরি সহযোগিতায় বর্তমানে ঢাকা শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নকল্পে একটি মাস্টার প্লান প্রণয়নের কাজ চলছে। মাস্টার প্লান প্রণয়ন হলে নগরীকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দৃষ্টিকোণে একটি স্বস্তিদায়ক নগর গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

তিনি জানান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকা হতে প্রতিদিন প্রায় ২৮শ’ বর্জ্য সংগ্রহ করছে। বর্জ্য সংগ্রহের জন্য নির্ধারিত স্থানে কন্টেইনার/ডাস্টবিন থাকার পরও কতিপয় অসচেতন নগরবাসী নিজেদের সুবিধামত স্থানে বর্জ্য ফেলে রাখছে, যা সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কাজকে বিঘ্নিত করছে এবং সড়কে জনসাধারণের চলাচলের স্থানে বর্জ্যের স্তুপ সাময়িকভাবে সৃষ্টি করছে।

নগরীর পরিবেশ রক্ষার্থে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন বিশেষ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের আওতায় এধরণের বর্জ্যের স্তুপকে নিয়মিতভাবে অপসারণ করে আসছে।

তিনি জানান, এখনো প্রায় ৫০টির মতো কন্টেইনার রাস্তার ওপর বাধ্য হয়ে রাখতে হচ্ছে। দ্বিতীয় এসটিএস নির্মাণের জায়গা পাওয়া গেলে অবশিষ্ট ময়লার কন্টেইনার গুলিও রাস্তার ওপর হতে সরিয়ে নেওয়া হবে।

সরকার দলীয় অপর সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশের ১১টি সিটি কর্পোরেশনের ৩৩৬টি ওয়ার্ডে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। এখানে ইলেকট্টনিক্স গভর্নমেন্ট (ই-জিপি) পোর্টালের মাধ্যমে টেন্ডার প্রক্রিয়া শতভাগ চালু করা হয়েছে। ২০১১ সালের ডিসেম্বর হতে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে সহজ ও স্বল্প সময়ে নগরবাসীকে ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট প্রদান করা হচ্ছে। কর্পোরেশনের রাজস্ব বিভাগ ও হিসাব বিভাগের অটোমেশন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এর মাধ্যমে নগরবাসী অনলাইনে হোল্ডিং ট্যাক্স পেমেন্ট করতে পারবেন। তা ছাড়াও অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেড লাইসেন্স প্রদান কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

জাতীয় পার্টির মো. ফখরুল ইমামের সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসনেই বিভিন্নস্থানে ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হচ্ছে। একটি বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী এসব নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব ফ্লাইওভারগুলো নির্মাণে ঠিক কত পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে তা নোটিশ পেলে সঠিকভাবে বলা সম্ভব হবে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *