আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি সমাবেশের নামে রাস্তাকে অচল করেছে, আর ক্ষমতায় এলে দেশকে অচল করে দেবে।
তিনি আজ রাজধানীর একটি রেস্তোরায় জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের ২৫ তম সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
এ সময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামান্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া আমরা ১৮ নভেম্বর শনিবার নাগরিক সমাবেশের কর্মসূচী দিয়েছি। এ ধরনের সমাবেশে দুর্ভোগ হবেই, তবে এটাকে সহনীয় পর্যায়ে রাখা রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব। ’
তিনি বলেন, কিন্তু বিএনপির সমাবেশে সৃষ্ট জনদুর্ভোগ সহনীয় মাত্রায় নেই। এ দুর্ভোগ অতীতের যেকোন দুর্ভোগের মাত্রা অতিক্রম করেছে। বেগম খালেদা জিয়ার সংবর্ধনার দিনও একই অবস্থা হয়েছিল। আমরা শেখ হাসিনাকে যে সংবর্ধনা দিয়েছিলাম সেখানে আমাদের মহিলা উপস্থিতিও তাদের সম্মিলিত উপস্থিতির চেয়ে বেশি ছিল। তারপরও আমরা ছিলাম সুশৃঙ্খল পরিবেশে। আমাদের নেতা-কমীরা ছিল ফুটপাতে।
যারা আজকে আজকে রাস্তা অচল করে সভা সমাবেশ করছে তারা ক্ষমতায় আসলে দেশকে অচল করে দেবে।বিএনপির সমাবেশে জনসমাগমে সরকার বাধা সৃষ্টি করছে বিএনপির এ অভিযোগের জবাবে কাদের বলেন, বিএনপির এ ধরনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে। খতিয়ে দেখতে হবে বিএনপির সমাবেশে সরকার বাধা দিচ্ছে না বিএনপি নিজেই নিজেদের বাধা দিচ্ছে? কারণ তারা তো নিজেরাই নিজেদের বাধা দেয়।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, অতীতে আমরা যখন বিএনপির এমন অভিযোগের খোঁজ-খবর নিয়েছি, তখন দেখেছি এসব অভিযোগের বাস্তব কোন ভিত্তি নেই। আসলে কথায় কথায় নালিশ করা তাদের পুরনো অভ্যাস। এ জন্যই এখন বিএনপি একটি নালিশ পার্টিতে পরিনত হয়েছে।
জনদুর্ভোগের জন্য বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিশৃঙ্খলাকেই দায়ী করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বিএনপির সমাবেশে বেগম খালেদা জিয়ার ‘গুরুত্বপূর্ণ বার্তা’ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ সরকার কি সহায়ক না তত্বাবধায়ক? তারা একবার বলে সহায়ক সরকার আবার বলে তত্বাবধায়ক সরকার। তা কি আজ পরিষ্কার করে বলবেন বেগম খালেদা জিয়া?
বিএনপির এ ধরনের দাবীকে মামার বাড়ীর আবদার হিসেবে উল্লেখ করে কাদের বলেন, সংবিধান অনুযায়ী বিএনপির এ ধরনের দাবী মানার কোন সুযোগ নেই। আর তাই আগামী নির্বাচন বর্তমান সরকারের অধীনেই হবে।