৯ বছর পর তনুজা চন্দ্রার কামব্যাক। ফিরলেন মিষ্টি প্রেমের ছবি দিয়ে।
তবে দুশমন দিয়ে বলিউডে পরিচালনায় পা রাখা তনুজা চন্দ্রা এবার দর্শকদের হঠকে ছবি উপহার দিলেন। তবে প্রেমকাহিনি হলেও কচিদের প্রেমকাহিনি নয়। তিরিশের ওপরে পৌঁছে যাওয়া এক মহিলা ও পুরুষের সম্পর্কের গল্প এক নতুন মোড়কে পেশ করা হয়েছে। মূল চরিত্রে ইরফান খান ও পার্বতী অভিনয় করেছেন। পরিচালনার মুন্সিয়ানা, গল্প বলার দক্ষতা এবং অভিনেতাদের অভিনয় দক্ষতা সবই সুন্দর।
ছবির মূল চরিত্র জয়া, যে ভূমিকায় অভিনয় করছেন পার্বতী, ৩৫ বছরের বিধবা মহিলার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। রঙিন জগতের থেকে প্যাস্টেলের দুনিয়ায় সাজিয়ে নিয়েছেন যিনি নিজেকে। কাজই তাঁর একমাত্র জগত। ব্যক্তিগত জীবনে আত্মবিশ্বাসের অভাব, লোকের সঙ্গে আলাপ করতে অস্বস্তি সব মিলিয়ে এক অদ্ভুত জীবনের মালিক পার্বতী।
আব তক সিঙ্গল নামক এক ডেটিং সাইটে আলাপ হয় ইরফান খানের সঙ্গে। ইরফানের চরিত্রের নাম হয়েছে যোগী। একেবারেই বিপরীত স্বভাবের একটি মানুষ তিনি, যিনি বেশি কথা বলেন, উগ্র রংয়ের পোশাক পড়েন এবং এক মুহূর্তের বেঁচে থাকায় বিশ্বাস করেন।
মুম্বাই থেকে দেরাদুন, রুড়কি, জয়পুর গ্যাংটক হয়ে পুরো ছবির জার্নি। চিত্রগ্রহণ বেশ প্রাণবন্ত। রাস্তার এই চলার সঙ্গে এগিয়েছে কাহিনি। এই সময়ই নিজেদের পুরনো জীবনের রেফারেন্স দিয়েছে ছবির মূল প্রোটাগনিস্টরা। এই জায়গায় গল্প বলাটা একটু বড় মনে হলেও কাহিনির খেই হারিয়ে যায়নি। দুজন প্রাক্তন বয়স্ক মানুষের প্রেম যেভাবে এগিয়ে যেতে পারে ঠিক সেভাবেই এগিয়েছে গল্প। নায়ক-নায়িকার মুখে একটিই গান রয়েছে, বাকি গান নেপথ্যে এসেছে।