কাদের বলেছেন, খালেদা জিয়া রোহিঙ্গাদের ত্রাণের নামে সাত দিন ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অচল করার পাশাপাশি কয়েকটি স্থানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। এরপরও সরকারের পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি। কারণ, দেরিতে হলেও তিনি রোহিঙ্গাদের দেখতে এসেছেন।
আজ রোববার কক্সবাজারে একটি হোটেলে সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন কাদের। পরে তিনি কক্সবাজার ও উখিয়ার কুতুপালং-২, থাইংখালী ও বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মিয়ানমার যে অপকর্ম করছে, তা ঢাকতে এখন দেশটি মিথ্যাচার করছে। বাংলাদেশের ওপর দায় চাপাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে পুরো বিশ্ব মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। মিয়ানমার কিছুদিনের মধ্যেই কোণঠাসা হয়ে পড়বে। তিনি বলেন, লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে শেখ হাসিনার সরকার বিশ্বে মানবিকতার এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে। এ জন্য সবচেয়ে বেশি ত্যাগস্বীকার করেছেন কক্সবাজারের স্থানীয় লোকজন।
ওবায়দুল কাদের রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় স্থানীয় লোকজনের উদারতার কথা উল্লেখ করে তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি নেত্রী ত্রাণ বিতরণের সময় আজেবাজে কথা বলে তিনি রাজনৈতিক দৈন্যর পরিচয় দিয়েছেন। আর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এসে ত্রাণের নামে ফটোসেশন করে চলে গেলেন। রোহিঙ্গা সংকটে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে সারা বিশ্বের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, তুরস্ক, সৌদি আরব, ইরান ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নসহ সবাই একবাক্যে বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন। কিন্তু বিএনপির কাছে এসব কিছুই নয়।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকটে বিশ্ববাসী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করছে। আর খালেদা জিয়া এবং তাঁর দল সমালোচনা ও মিথ্যাচারে লিপ্ত রয়েছেন।’
আজ ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল মোস্তাফা, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, জেলা পরিষদের সদস্য আশরাফ জাহান প্রমুখ।