সৌদি আরবে দুর্নীতি তদন্তে কয়েক ডজন প্রিন্স, একাধিক মন্ত্রী, সাবেক মন্ত্রী ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাসহ ২০৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। দেশের বাইরেও তদন্তের কাজ শুরু করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে সৌদি আরবের অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সৌদ আল-মোজেব বলেন, গত তিন বছর ধরে তদন্তের ভিত্তিতে আমরা ধারণা করছি, কয়েক দশকে ঘুষ, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের মাধ্যমে অন্তত ১০০ বিলিয়ন ডলার অপব্যবহার হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে ডাকা ২০৮ জনের মধ্যে সাতজনকে কোনো অভিযোগ ছাড়াই মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে তাদের নাম প্রকাশ করেননি।
এই তদন্তে কয়েক ডজন প্রিন্স, একাধিক মন্ত্রী ও ধনকুবেরকে আটকের কথা গত সপ্তাহে ঘোষণা করে সৌদি কর্তৃপক্ষ। সৌদি কর্তৃপক্ষের এই তদন্তে কার্যক্রম প্রতিবেশী দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতেও বিস্তৃত হয়েছে। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১৯ সৌদির ব্যাংক হিসাবের বিস্তারিত তথ্য জানাতে বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে।
বিলিয়নেয়ার প্রিন্স আল-ওয়ালিদ বিন তালাল ও ন্যাশনাল গার্ডের সাবেক প্রধান প্রিন্স মেতিব বিন আবদুল্লাহসহ এই ১৯ জনের প্রায় সবাইকে আটক করা হয় বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। সৌদি আরবের প্রয়াত বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজের ছেলে মেতিবকে এক সময় সিংহাসনের অন্যতম দাবিদার বলে মনে করা হত। রাজপরিবারে আবদুল্লাহর বংশধরদের মধ্যে কেবল তিনিই সৌদি সরকারের সর্বোচ্চ স্তরে ছিলেন।
প্রসঙ্গত, সৌদি বাদশাহ সালমান সম্প্রতি এক ডিক্রির মাধ্যমে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে নতুন দুর্নীতি দমন কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন। এরপর ১১ জন প্রিন্স, চারজন মন্ত্রী এবং ডজনখানেক সাবেক মন্ত্রীকে আটক করার খবর আসে। যুবরাজ্যের নেতৃত্বে গঠিত দুর্নীতি দমন কমিটিকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পাশাপাশি ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারিরও ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে।